Mamata Banerjee: সংঘাতের মেঘ রইল দূরে, স্বাধীনতা দিবসে রাজভবনে মমতা, যোগদান চা চক্রে

স্বাধীনতা দিবস। সেদিনই রাজভবনে গেলেন মুখ্য়মন্ত্রী। গতবছরেও স্বাধীনতা দিবসের দিন রাজভবনে গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এবারও তিনি রাজভবনে গিয়েছেন বলে খবর। মঙ্গলবার বিকালে রাজভবনে যান বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। আসলে রীতি অনুসারে স্বাধীনতা দিবসে রাজভবনে চা চক্রে যান মুখ্য়মন্ত্রী। এবারও তার অন্যথা হয়নি।

কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মুখ্য়সচিব, কলকাতার পুলিশ কমিশনার সহ বিশিষ্টজনেরা এদিন মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে রাজভবনে যান। অ্যাডভোকেট জেনারেল ও বিদেশি অভ্যাগতরাও গিয়েছেন রাজভবনে।

২০২২ সালের ১৫ অগস্ট ঠিক এই দিনেই রাজভবনে দেখা গিয়েছিল বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। তখন বাংলার রাজ্যপালের চেয়ারে লা গণেশন। সেবার বিকেল ৫টা ০৫ মিনিট নাগাদ তিনি রাজভবনের চা চক্রে অংশ নিয়েছিলেন। সেবার তাঁর সঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু প্রমুখ একাধিক নেতামন্ত্রী ছিলেন।

তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিগতদিনে লা গণেশন বাংলার রাজ্যপালের দায়িত্বে থাকার সময় রাজ্য- ও রাজ্যপাল সম্পর্ক ভালোই ছিল। কিন্তু এবার প্রেক্ষাপটটা একটু অন্যরকম। যত দিন গিয়েছে ততই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্ক তলানিতে যায়। একাধিক ইস্যুতে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য়ের বিরোধ চরমে ওঠে। তৃণমূলের একাধিক নেতা নেত্রী রাজ্যপালকে নিশানা করে একের পর এক তির ছোঁড়েন। তবে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে রীতি মেনেই এই চা চক্র। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও ব্যাপার নেই। তবে এর পরেও অনেকের প্রশ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের রাজভবনে আগমনের মাধ্য়মে কি রাজ্য-রাজ্যপালের সম্পর্কের বরফ গলবে?