JU Student Death: মমতা আর ব্রাত্য বসুকে প্রথমে ধরে… যাদবপুরকাণ্ডে বিস্ফোরক শুভেন্দু

যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর দায় কার? এনিয়ে চাপানউতোর একেবারে তুঙ্গে উঠেছে। তবে এবার এনিয়ে বিস্ফোরক রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আর ব্রাত্য বসুকে প্রথমে ধরে ঢোকানো উচিত। এরাই গোটাটা নোংরা করে রেখেছে। আজকে যাদবপুরের ছেলেটা আত্মবলিদান দিয়ে চোখ খুলে দিয়েছে। এমন কত জায়গায় হচ্ছে আমরা জানি না। খবর আছে নাকি! অন্য কলেজ হস্টেল, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কী হচ্ছে খবর আছে নাকি! কোথাও সিসি টিভি আছে! সুপার আছে? ফেন্সিডিলের বোতল, ড্রাগের বোতল, গাঁজার পুরিয়া, আর পেছনে মদের বোতল। ঝোপ ঝাড়ের ছবি করে দেখে আসুন। সব ধ্বংস করে দিয়েছে।’ দাবি শুভেন্দুর।

তিনি বলেন, ‘ভাইস চ্যান্সেলারের কলার ধরে বের করে আনা দরকার। ভিসি, প্রো ভিসি, রেজিস্ট্রার সব তৃণমূলের ক্যাডার। ভাষণ দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী। বড় বড় ভাষণ। শিক্ষামন্ত্রী বড় বড় ভাষণ দিচ্ছেন। আর একটা কলকাতার উপকণ্ঠে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনের পর দিন ধরে এই ধরনের মধ্য়যুগীর বর্বরতা চলছে আর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুমোচ্ছেন! কত ছবি দেখাব। ভিসি, রেজিস্ট্রার এরা ২৮ অগস্ট টিএমসিপির প্রোগ্রামে যান। কিছুদিন আগেই কচুবনে লাথি খাওয়া নেতার সঙ্গে ভিসির ছবি আছে। তৃণমূলের কর্মচারী ইউনিয়নের মিটিংয়ে। সিপিএম অর্ধেক করেছিল অনিলায়ন। আর তৃণমূল ১০০ শতাংশ করেছে। মমতায়ন।’

যাদবপুরে কোল খালি হয়ে গিয়েছে এক মায়ের। গ্রেফতার হয়েছে ৯জন। কিন্তু এই সুযোগে রাজনীতি কিন্তু চলছে পুরোদমে। দল বেঁধে যাদবপুরে গিয়ে হইহল্লাও চলছে পুরোদমে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এভাবে বছরের পর বছর ধরে হস্টেলে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের উপর এই যে মানসিক নির্যাতন এটা তো গত কয়েক দশক ধরে হয়েছে। কিন্তু তারপরেও কেন চুপ করেছিল সরকার? বিরোধীরা কি কিছুই জানতেন না? তারপরেও কেন এনিয়ে প্রতিবাদ হয়নি?

যাদবপুর কাণ্ড কার্যত আয়নার সামনে দাঁড় করিয়েছে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে। কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ইন্ট্রোর নাম করে এভাবে হেনস্থার মুখে পড়তে হবে গ্রামের গরিব ছাত্রদের?