Shantipur News: শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি দখল করল বিজেপি, ঘাসফুলের বাংলায় পদ্ম ধরে রাখা কি সম্ভব?

খুশির খবর গেরুয়া শিবিরে। শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া হল তৃণমূলের। সেই পঞ্চায়েত সমিতি দখল করল বিজেপি। শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির নতুন বোর্ডের সভাপতি হলেন বিজেপির নৃপেন মণ্ডল। এদিন পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের পরে বিজেপির নেতা কর্মীদের মধ্য়ে উল্লাস ছিল চোখে পড়ার মতো। জেলার তাবড় বিজেপি নেতারা এদিন উপস্থিত ছিলেন শান্তিপুরে। তাদের দাবি বহু অত্যাচারকে উপেক্ষা করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। এই জয় সাধারণ বিজেপি কর্মীর জয়। 

অতীতে এই পঞ্চায়েত সমিতিতে ক্ষমতায় ছিল বামফ্রন্ট। পরবর্তীতে এখানে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। আর এবার সেই পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে নিল বিজেপি।

রানাঘাট উত্তর পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্য়ায় ও রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকার এদিন এখানে উপস্থিত ছিলেন।

জগন্নাথ সরকার বলেন, পুলিশ শাসাচ্ছে। ওসি তৃণমূলের মণ্ডল সভাপতির মতো কাজ করছে। তারপরেও বিজেপি যে জয় পেয়েছে তা সাধারণ বিজেপি কর্মীদের জয়। অনেকেই বাড়ি ছাড়া অবস্থায় রয়েছেন। তাদের পাশে আমরা রয়েছি। সত্যিকারের ভালো জয় হয়েছে।

চঞ্চল চক্রবর্তী, সহকারি সভাপতি বলেন, ছাত্র অবস্থা থেকে রাজনীতি করি। সমস্ত মানুষের কাছে আশীর্বাদ চাইছি। এই প্রথম প্রশাসকের ভূমিকায় বসব। শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি চোরমুক্ত হল। কেউ বলতে পারবে না আমরা চোর ছিলাম। ভোটাভুটিতে জয় হয়েছি। সকলে সহযোগিতা করেছেন। পুলিশ, সাধারণ প্রশাসন ভালো সহযোগিতা করেছে। পঞ্চায়েতি ব্যবস্থার বেশিরভাগটাই কেন্দ্রীয় সরকারের টাকায় পরিচালিত হয়। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের টাকায় পরিচালিত হবে। রাজ্য সরকারের সহযোগিতা চাই। জেলা পরিষদের সহযোগিতা চাইছি। কাটমানি মুক্ত কাজ হবে। একটা কথা বলতে চাই, যদি আমাদের উপর বিমাতৃসুলভ আচরণ হয়, যদি আমাদেরকে বঞ্চিত করা হয় তবে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করব এটা আগাম বলে রাখলাম।

গোটা বাংলা জুড়ে ঘাসফুল। তার মধ্য়েই এবার পদ্মফুল ফুটল শান্তিপুরে। খুশিতে উদ্বেগ শান্তিপুর। গেরুয়া আবিরে ভেসে গেল পঞ্চায়েত সমিতি প্রাঙ্গন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এই খুশি কতদিন। আদৌ কি সমস্ত সদস্যরা বিজেপিতে থাকবেন? নাকি দলবদলের হাওয়া লাগবে কাল থেকেই ?