Snake Venom: প্লাস্টিকের জারে ২৯টি কেউটে, ওড়িশা থেকে সাপের বিষ আসত বাংলায়, পর্দাফাঁস করল বনদফতর

আন্তঃরাজ্য সাপের বিষ চোরাচালান চক্রের হদিশ পেল ওড়িশা বনদফতর। ওড়িশা থেকে সাপের বিষ পশ্চিমবঙ্গে ও বাংলাদেশে পাচার করা হয় বলে অভিযোগ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বালাসোর বনদফতরের আধিকারিকরা বালাসোর জেলার পঞ্চপুলি গ্রামে অভিযানে নামেন। সেখান থেকে ২৯টি কোবরাকে বাজেয়াপ্ত করা হয়।

বালাসোর ফরেস্ট ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কনসার্ভেটর অফ ফরেস্ট শোভন চন্দ জানিয়েছেন, ওরা বিভিন্ন জায়গা থেকে সাপ ধরে। এরপর সেখান থেকে বিষ বের করে। এরপর মোটা টাকায় সেই বিষ বিক্রি করত। প্লাস্টিকের কৌটোতে সাপগুলোকে রেখে দিত। তাতে ফুটো করে রাখত। সেজন্য় সাপগুলো মরত না। মনে হচ্ছে ওদের সঙ্গে আরও লোকজন জড়িত রয়েছে।

বছর দুয়েক আগে দেওঘর জেলার পুলিশ প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের সাপের বিষ ধরেছিল। সেই সময় একটি চক্রের সন্ধান পেয়েছিল বনদফতর।

এদিকে বাংলা থেকেও নানা সময় বিষাক্ত সাপের বিষ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মূলত উত্তরবঙ্গে এই চক্রের সন্ধান মিলেছে। তারাও বাংলাদেশে পাচারের ছক কষে। বেশ কিছুদিন আগে, দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলির গয়েশপুর বিওপির পাহানপাড়া সীমান্ত থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল বিপুল পরিমাণ সাপের বিষ। সেই একই কায়দায় কাঁচের জারের মধ্যে ছিল ওই সাপের বিষ। সেই সাপের বিষ বাজেয়াপ্ত করেছে বিএসএফ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে সেই বিষ বাংলাদেশে পাচার করার ছক কষা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে এই বিষের মূল্য প্রায় ১৩ কোটি।

সেই সময় জানা গিয়েছিল, বাংলাদেশ সীমান্তের দিক থেকে দুজন সন্দেহভাজনকে এগিয়ে আসতে দেখে সন্দেহ হয়েছিল বিএসএফের। তারা চ্যালেঞ্জ করেছিল। এরপরই পাচারকারীরা পালিয়ে যায় বাংলাদেশের দিকে। অন্ধকারের মধ্যে তারা কার্যত মিলিয়ে যায়। তাদের ধরতে বাহিনী সবরকম চেষ্টা চালায়। শেষ পর্যন্ত তাদের নাগাল পাওয়া যায়নি। তবে তাদের ফেলে যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার করেছিল বিএসএফ। সেখানেই দেখা যায় একটা জার রয়েছে। সেই জারের মধ্য়ে ছিল সেই বহুমূল্য সাপের বিষ। সেই জারে লেখা ছিল মেড ইন ফ্রান্স। এবার ওড়িশায় একেবারে গাদা সাপ উদ্ধার হল। সেগুলো প্লাস্টিকের জারে ভরা ছিল।