জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ চায় বাসদ

ডেঙ্গু মহামারি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ঢাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে চিকিৎসা কেন্দ্র নির্মাণ, বিনামূল্যে ডেঙ্গু টেস্ট ও চিকিৎসা করা, নগরীর জলাবদ্ধতা দূর ও দখল-দূষণ বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। 

বুধবার (১৬ আগস্ট) বাসদের ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত হয়ে এসব দাবি জানানো হয়। 

পরবর্তী সময়ে মিছিলসহ গুলিস্তানন্থ নগর ভবনের সামনে সমাবেশ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

বাসদ ঢাকা মহানগর শাখার সদস্যসচিব জুলফিকার আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ কেন্দ্রীয় সম্পাদক ম-লীর সদস্য নিখিল দাস, বাসদ ঢাকা মহানগর নেতা খালেকুজ্জামান লিপন, ডেমরা-যাত্রাবাড়ী- শ্যামপুর শাখার নেতা জাকির হোসেন, আফজাল হোসেন, লালবাগ থানার নেতা রুখশানা আফরোজ আশা, শাহবাগ থানার নেতা আনোয়ারুল ইসলাম, খিলগাঁও থানা শাখার নেতা অনিক কুমার দাস, সূত্রাপুর থানার নেতা সুস্মিতা মরিয়ুম প্রমুখ।

সমাবেশে নেতারা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, চলতি বছর দেশের ডেঙ্গু রোগীর অর্ধেকই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে। চলতি বছর ১৪ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৮৭ হাজার ৮৯১ জন। এর মধ্যে রাজধানীর ৪৩ হাজার ৬৬৫ জন। এ সময়ে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ৪১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৩০০ জনই ঢাকার বাসিন্দা। অর্থাৎ ডেঙ্গুতে যত মৃত্যু তার প্রায় ৭৬ শতাংশই ঢাকার। তার উপরে আবার গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে হয়ে যাওয়া বর্ষণ ও জলাবদ্ধতা ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব লাগামছাড়া করে ফেলছে।

তারা বলেন, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতার সংকট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যে সামান্য বৃষ্টিতেই জলজট ও যানজটে নগরবাসী নাকাল। ঢাকার বেশিরভাগ খাল, পুকুর ও জলাশয় দখল হয়ে গেছে, দখল দূষণে চারটি নদীর অবস্থা মৃতপ্রায়। এই দখল-দূষণ থেকে ঢাকা শহরকে রক্ষার কার্যকর উদ্যোগের ঘাটতি দৃশ্যমান। আবার বর্ষার মৌসুম আসলেই সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন বিভাগের খনন ও রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু হয় যা নগরবাসীকে আরও বেশি সংকটের মধ্যে ফেলে।

এসময় ডেঙ্গু মহামারি পরিস্থিতিকে জনস্বাস্থ্য জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে মশা নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জনসম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধির সমন্বয়ে এলাকাভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করে এবং যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার দাবি জানান তারা।