Cancer: প্রসাধনী দ্রব্যই বলে দিল ক্যানসারে রয়েছে শরীরে! আপনিও কি বুঝতে পারবেন

প্রসাধনী দ্রব্য কিনতে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। কেনার আগে তা মুখে একটু লাগিয়ে দেখেও নেন তিনি। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই ঘটে যায় একটি অদ্ভুত ঘটনা। ফাউন্ডেশনটি লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে মুখে তীব্র জ্বালা শুরু হয়। এমনকী মুখে লাল লাল দাগ বেরোতে শুরু করে। ত্বকের রঙের সঙ্গে ফাউন্ডেশন মিশে যাওয়ার বদলে এমনই বিক্রিয়া করতে শুরু করে। তবে এ কোনও সাধারণ র‌্যাশ নয়। বরং বড়সড় ও বিরল ক্যানসার রোগের লক্ষণ। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরাও জানতে পেরেছেন এমনটাই। 

আরও পড়ুন: অঙ্কে সেরা ভারত! আন্তর্জাতিক ম্যাথ অলিম্পিয়াডে ১১৮টি দেশ হারিয়ে দারুণ জয়

আরও পড়ুন: সিংহের পাশে বসে এ কী করছেন তরুণী! ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে চোখ কপালে উঠল নেটিজেনদের

‘ন্যাশনাল হেল্‌থ সার্ভিস’-এর তরফে বলা হয়েছে, এ আসলে বিরল জাতের থাইরয়েড ক্যানসারের লক্ষণ। সেই লক্ষণই দেখা দেয় ওই মহিলার মুখে। সাধারণত, থাইরয়েড ক্যানসারের লক্ষণ হল গলার কাছে শক্ত দলা দলা অনুভব হওয়া, গলায় প্রচণ্ড ব্যথা হওয়া, এমনকী খাবার গিলতে অসুবিধা হওয়া। এছাড়াও, এই ক্যানসারে স্বরের বদল হয়। তবে, এগুলি ছাড়াও আরেকটি অদ্ভুত লক্ষণ রয়েছে যা বলে দেয় কেউ থাইরয়েডের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন কি না। সেটি হল প্রসাধনী মাখলে মুখে লাল লাল দাগ দেখা দেওয়া।

ব্রিটেনের ক্যানসার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রক্তে ‘ক্যালশিটোনিন’ নামে এক হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে এমনটা হতে পারে। এই হরমোন রক্তে ক্যালশিয়াম এবং ফসফেটের মাত্রা ঠিক রাখে। 

‘মেডুলারি থাইরয়েড ক্যানসার’ হলে ‘ক্যালশিটোনিন’এর মাত্রা ওঠানামা করে। আর ওই হরমোনই বিরল থাইরয়েড ক্যানসার চিনিয়ে দিতে সাহায্য করে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইংল্যান্ডে প্রতি বছর প্রায় চার হাজার মানুষ থাইরয়েড ক্যানসারে আক্রান্ত হন। তার মধ্যে গড়ে ৪০০ জনের মৃত্যু হয় প্রতি বছর।

থাইরয়েড ক্যানসারের লক্ষণ কী কী

সাধারণ সর্দি কাশিতে গলা ব্যথা, টনসিল ফুলে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। তাহলে থাইরয়েড ক্যানসারকে আলাদা করে চিনবেন কীভাবে। রইল কয়েকটি বিশেষ লক্ষণ।

১) তিন সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে গলায় ঘা হওয়া।

২) গলা বা ঘাড়ের পিছন দিকে ব্যথা হওয়া।

৩) বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বরের পরিবর্তন হওয়া। 

৪) গলায় দলা দলা মাংস পিণ্ড অনুভব করা।

৫) খাবার গিলতে কষ্ট হওয়া।

এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে তা সাধারণ গলার সমস্যা ভেবে এড়িয়ে যাবেন না। এতে রোগ আরও গেড়ে বসতে পারে। এক মাসের বেশি সময় ধরে এই লক্ষণগুলি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।