Calcutta High Court: কর্মচারীকে অবিলম্বে পোস্টিংয়ের জায়গায় যোগ দিতে বলা কোনও অপরাধ নয়: হাইকোর্ট

কোম্পানির নিয়ম মেনে ট্রান্সফার করা কোনও ষড়যন্ত্রমূলক অপরাধ নয়। এমনকি তাঁকে অবিলম্বে পোস্টিংয়ের জায়গায় কাজে যোগ দিতে বলাও অপরাধ নয়। এক মামলার  পর্যবক্ষণে এমনটাই জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অজয়কুমার মুখোপাধ্যায় একটি ব্যাঙ্কের মানবসম্পদ আধিকারিকের বিরুদ্ধে করা ফৌজদারি মামলা বাতিলের সময় এই পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছেন।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, যদি কোনও ব্যাঙ্ক তার ট্রান্সফার নীতি অনুযায়ী কর্মীকে ট্রান্সফার করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তা ভারতীয় দণ্ডবিধির (আপিসি) ৫০৬ ধারার অধীনে ভয় দেখানো বা হুমকির মতো অপরাধমূলক কাজ নয়। একই সঙ্গে একজন কর্মচারীকে অবিলম্বে তার পোস্টিং জায়গায় যোগদান করতে বলাও কোনও অপরাধমূলক কাজ হতে পারেন না।

ব্যাঙ্কের এইচআর ম্যানেজারের বিরুদ্ধে একজন অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর চরিত্র হননের জন্য এবং তাঁকে অন্যত্র ট্রান্সফার করার জন্য কয়েকজন আধিকারিকের সঙ্গে বসে ওই এইচআর ম্যানেজার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। তিনি ওই এইচআর ম্যানেজার এবং আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৫০৬ নম্বর ধারায় মামলা করেছিলেন। মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট সমনও জারি করেন। এর পর এইচআর ম্যানেজার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

তিনি হাইকোর্টকে বলেন, অভিযোগরীর বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কের এক মহিলা আধিকারিরকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগ ব্যাঙ্কের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে যায়। একটি অলোচনার ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ তাঁকে ত্রিপুরা ট্রান্সফারের সিদ্ধান্ত নেন।

আদালতকে তিনি আরও বলেন, ব্যাঙ্কের একই শাখায় পাঁচ বছর থাকার পর ট্রান্সফার নীতি অনুযায়ী সাধারণত আধিকারিকদের বদলি করা হয়। তিনি জানান অভিযোগকারী বীরভূম শাখায় ছ’বছর পূর্ণ করেছেন।

ওই এইচআর ম্যানেজার আদালতকে আরও বলেন, অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি (আইসিসি) প্যালেনে ছিলেন না এবং তিনি এই স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জড়িত নন।

শুনানির পর সমস্ত ফৌজদারি অভিযোগ বাতিল করেছে আদালত। একই সঙ্গে আদালত ফৌজদারি অভিযোগ গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেটেরও সমালোচনা করেছে। আদালত বলেছে অভিযোগটি যাচাই না করেই সমন জারি করা হয়েছিল।

বেঞ্চ বলে, ফৌজদারি মামলায় বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগে প্রাথমিক জবানবন্দি রেকর্ড করার সময় ম্যাজিস্ট্রেটের ভূমিকা নীরব দর্শকের মতো নয়।