JU New interim VC: রাজ্যপাল বোসের নির্দেশে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হলেন গণিতের অধ্যাপক

এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস। এই পদে বসছেন অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউ। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অংক বিভাগের অধ্যাপক। সোমবার থেকে তিনি দায়িত্ব বুঝে নেবেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল রাজভবনে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব সামাল দিতে তিনি সক্ষম হবেন কি না। তাছাড়া তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়েও বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। এই আবহে গতকাল রাত ১১টা ১০ মিনিটে এক প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে রাজভবনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হচ্ছেন অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউ।

উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুতে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠে এসেছে। এই আবহে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং ডিন অফ স্টুডেন্টসকে ডেকে জেরা করা হয়েছে লালবাজারে। এরই মধ্যে যাদবপুর কাণ্ডে সিটিটিভি নিয়ে রাজনৈতিক চাপ বাড়ছে। এই আবহে সম্প্রতি রাজভবনে আধিকারিকদের নিয়ে একদফা বৈঠকও করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই উপাচার্য নিয়োগ করা হবে। সেই মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গতরাতে। এর আগে সিভি আনন্দ বোস স্বীকার করেছেন, উপাচার্য না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে।

এদিকে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে রাজ্যপাল অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। তিনি নিজে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বারবার গিয়েছেন। পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেছেন। গত বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট সদস্যদের সঙ্গে রাজভবনে বৈঠক করেছিলেন রাজ্যপাল। সেই বৈঠকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মনজিৎ মণ্ডলকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল। মনজিতের অভিযোগ ছিল, তিনি তৃণমূলপন্থী বলেই তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে এই বৈঠক অবৈধ বলেও তিনি দাবি করেছিলেন।

এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সুদীপ রাহা। ওই মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। হস্টেল কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। এই পরিস্থিতিতে আচার্য বোসকে এই মামলায় পার্টি করা হয়। আগামী সোমবার মামলার শুনানি হতে পারে।