Minister bitten by Snake: বন্যা বিপর্যস্ত এলাকায় উদ্ধারকার্যে গিয়ে বিষধর সাপের ছোবল খেলেন মন্ত্রী!

বিগত বেশ কয়েক দিন ধরেই উত্তরভারতের হিমালয় অঞ্চল জুড়ে অতিবৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে পঞ্জাবের সমতলেও এর প্রভাব পড়েছে। সেখানে বন্যা দেখা দিয়েছে বহু জায়গায়। এই আবহে বন্যা বিপর্যস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযানে গিয়েছিলেন সেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হরজ্যোৎ সিং বাইনস। আর সেই সময় নাকি তিনি বিষধর সাপের ছোবলে আক্রান্ত হন। ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১৫ অগস্ট রাতে। গতকাল নিজের শারীরিক অবস্থার আপডেট দিয়ে ঘটনার কথা জানান হরজ্যোৎ। মন্ত্রী জানান, তাঁক শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে।

জানা গিয়েছে, পঞ্জাবের রূপনগর জেলার আনন্দপুর সাহিব এলাকাটি বন্যায় ভেসে গিয়েছে। সেখানেই উদ্ধারকার্যে নেমেছিলেম মন্ত্রী নিজে। স্বাধীনতা দিবসের রাতে সেই অভিযান চলাকালীন সাপের ছোবল খান হরজ্যোৎ। তারপর তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। এখন তিনি বিপদ মুক্ত। উল্লেখ্য, আনন্দপুর সাহিব থেকেই বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন হরজ্যোৎ। এই আবহে নিজের এলাকায় বন্যা ত্রাণ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন মন্ত্রী। সেখানেই সাপের ছোবল খেতে হয়েছিল তাকে। মন্ত্রী জানান, এখন তিনি ভালো আছেন। তবে তিনি এখনও হাসপাতালেই ভরতি রয়েছেন।

গতকাল নিজের শারীরিক অবস্থার আপডেট দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি বার্তায় হরজ্যোৎ লেখেন, ‘ঈশ্বরের ইচ্ছায় বর্তমানে আনন্দপুর সাহিব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। সেখানে উদ্ধারকার্যের সময় আমাকে একটি বিষধর সাপ ছোবল মেরেছিল। তবে তাতে আমার সংকল্প ভঙ্গ হয়নি। আমি মানুষকে সাহায্য করে গিয়েছি। আর ঈশ্বরের কৃপা এবং মানুষের ভালোবাসায় আমি এখন ভালো আছি। আমার শরীর থেকে বিষ নেমে গিয়েছে। এবং আমার সাম্প্রতিক রক্তের পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাভাবিক ছিল।’ এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় হরজ্যোৎ দু’টি ছবি পোস্ট করেন। একটিতে তাঁকে হাসপাতলের সয্যায় বসে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। অপর ছবিটি তার পায়ের। সেটি ফোলা। এবং পায়ের পাতায় দু’টি ক্ষুদ্র ক্ষত চিহ্ন।

উল্লেখ্য, পঞ্জাবের রূপনগর, গুরুদাসপুর, হোশিয়ারপুর, কাপুরথালা এবং ফিরোজপুর জেলার অনেক এলাকা ভারী বৃষ্টির কারণে জলমগ্ন। অতিবৃষ্টির জেরে পং এবং ভাকরা বাঁধ থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়া হয়। এর জেরে বিয়াস ও

শতদ্রু নদীর জল বিপদসীমা অতিক্রম করে। আর এর কারণেই প্লাবিত হয়েছে এই সব এলাকা। রূপনগরে, আনন্দপুর সাহিব, নাঙ্গলের হারসা বেলা, ভালান, ভানাম এবং বেলা সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর জেরে কয়েক হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে হরজ্যোৎ তাঁর নির্বাচনী এলাকা আনন্দপুর সাহিবের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন স্বাধীনতা দিবসের রাতে।