Visva Bharati: ‘স্যার যৌন হেনস্থা করতেন,’ বিশ্বভারতীর প্রফেসরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিবাদে অনশন

বিশ্বভারতীতে এবার নয়া বিতর্ক। অ্যানথ্রোপলজির তিন গবেষক পড়ুয়া ও এক পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পড়ুয়া এক প্রফেসরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। সোমবার মুখ বেঁধে চার মহিলা অনশনে বসেন। তাঁদের দাবি সেই ২০২১ সাল থেকে অন্তত ২০বার অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ একেবারে নীরব। 

গত ১৮ অগস্ট তারা ইমেল করেছিলেন রেজিস্ট্রারের কাছে। তাঁরা জানিয়েছেন, মহিলা কমিশন, প্রধানমন্ত্রী সকলের কাছে যাব এবার। 

হিন্দুস্তান টাইমস সেই ইমেল দেখেছে। সেখানে লেখা হয়েছে, এই হেনস্থা রোজকার ব্যাপার ছিল। কিন্তু তবুও আমরা ধৈর্য্য ধরেছি।আমরা জীবনের ভয় পেতাম। পরে শুনলাম তিনিই উলটে আমাদের নামে চরিত্র হনন করার চেষ্টা করছেন। 

এক অভিযোগকারী হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, ছাত্রী থাকাকালীন ২০১৮ সাল থেকে প্রফেসর এই হেনস্থা করছেন।  ২০২১ সালে আমার ফেলোশিপ স্টাইপেন্ডও বন্ধ করে দেন। ২০২৩ সালে সরাসরি কু প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীন কমিটি আমাদের ডেকে বয়ান নিয়েছিল। 

তবে অভিযুক্ত প্রফেসরের ফোন সুইচড অফ। তবে বিশ্বভারতীর মুখপাত্র মহুয়া বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, আইসিসি একপক্ষের কথা শুনে কিছু করে না। প্রফেসর লিখিতভাবে বক্তব্য জানিয়েছেন। সেটা দেখে কমিটি তাঁকে ডাকবে। 

বিশ্বভারতীর ফ্য়াকাল্টি অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে,ওই চারজনের কেরিয়ার প্রায় বিপন্ন।

এদিকে গত তিন মাসে এনিয়ে তিনবার এই যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল। 

গত ৩ জুন এক প্রফেসরকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তার বিরুদ্ধে এক পিএইচডি পড়ুয়া যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন। সেই সময় বিশ্বভারতীর মুখপাত্র মহুয়া বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে  সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট কমিটি তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। 

১১ অগস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে একটি পোস্টে। বলা হয়েছিল সংগীত বিভাগের শিক্ষকরা দু বছর ধরে একজনকে হেনস্থা করছেন। তবে বিশ্বভারতী এই অভিযোগ অস্বীকার করে। খোদ উপাচার্য অনশনে বসে জানিয়ে দেন, কালিমালিপ্ত করার জন্য় এসব ছড়ানো হচ্ছে।