Bankim Setu: মেরামতের সময় ভেঙে পড়ল বঙ্কিম সেতুর কংক্রিটের চাঙড়, দুর্ঘটনা রুখতে পদক্ষেপ

পুলিশের অনুমতি পাওয়ার পরে শুরু হয়েছে হাওড়ার বঙ্কিম মেরামতির কাজ। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে সেতুর মেরামত না হওয়ায় অবিলম্বে সেতুটি মেরামত করার পরামর্শ দিয়েছিল বিশেষজ্ঞ কমিটি। এখন ওই সেতুর মেরামতি করছে কেএমডিএ। কিন্তু, মেরামতির সময় ঘটল বিপত্তি। ভেঙে পড়ল সেতুর কংক্রিটের ব্লকের একাংশ। মহাত্মা গান্ধী রোডের সংযোগস্থলে সেতুর কংক্রিটের চাঙড় ভেঙে পড়ে। তবে ঘটনার সময় সেতুর নিচে কোনও মানুষজন ছিল না। সেক্ষেত্রে বড়সড় বিপদ ঘটতে পারত বলেই অনেকের আশঙ্কা।

আরও পড়ুন: বিদ্যাসাগর সেতুতে রেলিং বসানোর কাজ দুর্গাপুজোর আগে শেষ করার পরিকল্পনা

জানা গিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে কেএমডিএ হাওড়া সিটি পুলিশের কাছে এই সেতু মেরামতের জন্য অনুমতি চেয়েছিল। এর জন্য সেতুর একাংশ বন্ধ রাখার জন্য পুলিশকে অনুরোধ জানিয়েছিল কেএমডিএ। কিন্তু পুলিশ তাতে অনুমতি দেয়নি। সম্প্রতি হাওড়া পুলিশ অনুমতি দিয়েছে। তারপরেই কাজ শুরু হয়েছে। এর আগে যে বিশেষজ্ঞ কমিটি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছিল তারা জানিয়েছিল সেতুর এক্সপ্যানশন জয়েন্ট পাল্টানোর প্রয়োজন রয়েছে। তাছাড়া, সেতুর মধ্যবর্তী অংশে কেবল ডাক্টের উপরে থাকা কংক্রিটের অংশও মেরামত করতে হবে। কারণ কংক্রিটের অংশগুলি দীর্ঘদিন ধরে থাকার ফলে ভগ্নপ্রায় হয়ে গিয়েছে। সোমবার সেতু মেরামতের সময় সেই কংক্রিট ব্লকের একাংশ ভেঙে পড়ে। বাকি অংশ বিপজ্জনক ভাবে রাস্তার ওপরে ঝুলছিল। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় দমকলবাহিনী। তারা সেতু থেকে ঝুলতে থাকা চাঙড় নামিয়ে আনেন। 

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে সেতু সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্ন অংশে সমস্যা দেখা দেয়। যার মধ্যে এক্সপ্যানশন জয়েন্টের অবস্থা ছিল সবচেয়ে খারাপ। তাছাড়া কিছু জায়গায় গর্ত হয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশেষজ্ঞ কমিটি। এরপর সেতু মেরামতে উদ্যোগী হয় কেএমডিএ। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সেতু মেরামতের জন্য তিন কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল পূর্ত এবং নগর উন্নয়ন দফতর। কিন্তু সেই মেরামতির কাজ এতদিন ধরে থমকে ছিল। 

এদিন সেতুর কংক্রিটের অংশ ভেঙে যাওয়ার ফলে করার পরে যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেগুলি সরানো হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।  আপাতত দিনের বেলায় আংশিকভাবে সেতু বন্ধ রেখে কাজ করা হচ্ছে। ঘটনা পরেই কোনও রকমের দুর্ঘটনা রুখতে তৎপর হয়েছে কেএমডিএ। সেতু মেরামতের সময় যাতে কোনও কিছু নিচে না পড়ে যায় তার জন্য জাল পেতে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরফলে কোনও কিছু ভেঙে পড়লে সহজেই জালে আটকে যাবে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটবে না। তার জন্য এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।