চুল পড়ার ৬ কারণ

আপাতদৃষ্টিতে চুল পড়াকে ছোট সমস্যা মনে হলেও আদতে এটি কিন্তু আপনার ঘুম হারাম করে দিতে পারে! চুল পড়ার সমস্যাকে বিদায় জানাতে চাইলে আগে জানতে হবে এর কারণ কী। নানা কারণে চুল পড়তে পারে। কিছু কারণ অস্থায়ী এবং সময়ের সাথে সাথে চলে যায়। তবে কিছু গুরুতর কারণেও চুল পড়তে পারে। জেনে নিন চুল পড়ে যাওয়ার কিছু কারণ সম্পর্কে।

  1. পারিবারিক ইতিহাস বা বংশগত কারণে চুল পড়তে পারে। পরিবারের কেউ যদি চুল পড়ার সমস্যায় ভুগে অকালে টাক হয়ে যান, তবে সেই ঝুঁকতে রয়েছেন আপনিও।
  2. হরমোনের পরিবর্তন কারণ হতে পারে অতিরিক্ত চুল পড়ার। ঋতুস্রাব, বয়ঃসন্ধি, গর্ভাবস্থা এবং থাইরয়েডের মেনোপজের মতো পরিস্থিতিতে হরমোনের মাত্রায় ভারসাম্যহীন হতে পারে। যার ফলে অস্থায়ী বা স্থায়ীভাবে চুল পড়ে যায়।
  3. খুশকি, দাদ ইত্যাদির মতো মাথার ত্বকের সমস্যা আপনার চুলের গোড়াকে দুর্বল করে দিতে পারে। এতে চুল ঝরে আশংকাজনকভাবে।
  4. মানসিক চাপ এবং জীবনযাত্রার সমস্যার কারণে বেড়ে যেতে পারে চুল পড়া। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, অতিরিক্ত স্ট্রেস লেভেল ইত্যাদির কারণে সাময়িক চুল পড়া বাড়তে পারে।
  5. প্রচণ্ড তাপ বা অত্যন্ত শক্তিশালী রাসায়নিক প্রয়োগ করলে চুলের গঠন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং চুলের ক্ষতি হতে পারে। এর ফলে চুল পড়তে পারে।
  6. উচ্চ রক্তচাপ, আর্থ্রাইটিস ইত্যাদির জন্য নির্ধারিত কিছু ওষুধ চুলের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কেমোথেরাপির অংশ হিসেবে ব্যবহৃত বিকিরণও মারাত্মক চুল পড়ার কারণ।

কীভাবে বুঝবেন আপনার অরিতিক্ত চুল ঝরছে?

দৈনন্দিন ১০০ চুল ঝরতে পারে স্বাভাবিকভাবেই। তবে যদি লক্ষ করেন যে চুলে চিরুনি দিলেই চুলে পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে চিরুনি বা কপালের উপরের অংশ ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে, তবে সচেতন হওয়া জরুরি। গোসলের পর বাথরুমে চুল পড়ে থাকা, বালিশের কভারে চুল আটকে থাকা এমনকি মাথায় হাত দিলেও চুল উঠে আসা স্বাভাবিক নয়। অনেক সময় ভ্রু এবং দাড়িও পড়তে পারে। এসব পরিস্থিতিতে সচেতন হতে হবে দ্রুত।

তথ্য: স্টাইল অ্যাট লাইফ