‘মমতা আসল অপরাধীদের আড়াল করছেন’ যাদবপুর নিয়ে পালটা দাবি সেলিমের

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এ নিয়ে শাসক দল এবং বিরোধীরা একে অপরকে লক্ষ্য করে কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু করেছে। যাদবপুরের ঘটনার জন্য সোমবার সিপিএমকে দায়ী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তরা সিপিএমের সঙ্গে জড়িত।  আর এবার পালটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসল অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করছেন।

আরও পড়ুন:’আমি যখন পড়াশোনা করতাম…’, ব়্যাগিং নিয়ে কী অভিজ্ঞতা মমতার নিজের?

মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে যাদবপুর কাণ্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন মহম্মদ সেলিম। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যা কথা বলছেন। এই ঘটনায় যারা ধরা পড়েছে তাদের কেউ সিপিএম বা এসএফআই নয়। তাঁর অভিযোগ, আসল অপরাধীদের আড়াল করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণেই তিনি সিপিএমের নাম নিচ্ছেন। তিনি আরও অভিযোগ তোলেন, যাদবপুরের ঘটনায় যারা ধরা পড়েছে তাদের পূর্বসূরীরা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মহম্মদ সেলিম জ্ঞানেশ্বরীকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, ‘জ্ঞানেশ্বরীকাণ্ডের সময় মমতা বন্দোপাধ্যায় সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন।’ সেলিমের পরামর্শ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাথায় রাখতে হবে যে তিনি এখন শাসক তিনি আর বিরোধী দলনেত্রী নেই। তাই তাঁকে শাসকের মতোই কাজ করতে হবে। সেলিমের প্রশ্ন, আর কবে প্রশাসক হবেন? উল্লেখ্য, সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম–মোয়াজ্জেমদের সম্মেলনে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘সিপিএমের ছাত্র সংসদ যাদবপুর ছেলেটাকে মেরে ফেলেছে।’ তার পালটা জবাব দিতেই এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন মহম্মদ সেলিম।

এদিকে, আগামী ২৮ অগস্ট তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস। ওইদিন স্বাভাবিকভাবেই যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে সিপিএমকে আক্রমণ করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কথা অনুমান করেই এর পরের দিন ২৯ অগস্ট পালটা সভার আয়োজন করেছে সিপিএম। যাদবপুর এফবি বাসস্ট্যান্ডের কাছে এই সভা করা হবে। সেখানে বক্তব্য রাখবেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। সেখানে পালটা তাঁরা যাদবপুর নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে পারেন বলে অনুমান রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।যাদবপুর