‘‌সমাজের একটা অংশ ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষার দিকে ঝুঁকছে’‌, বিধানসভায় স্বীকার ব্রাত্যের

রাজ্যের বাংলা মিডিয়াম স্কুলগুলিকে ঢেলে সাজাচ্ছে রাজ্য সরকার। এমনকী তার জন্য পড়ুয়াদের মিড–ডে মিলে নতুনত্ব আনা হয়েছে। সবুজ সাথীর সাইকেল দেওয়া হচ্ছে। তার সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের বই, জামা, জুতো—সবই দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তারপরও বাড়ছে না ছাত্রছাত্রী সংখ্যা। অর্থাৎ পড়ুয়াদের মধ্যে মাতৃভাষায় পঠনপাঠনে আগ্রহ কমছে। যা সত্যিই চিন্তার। এই বাংলা ভাষায় শিক্ষা নেওয়ার প্রবণতা কমছে একথা স্বীকার করে নিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এমনকী এটাকে বিপজ্জনক প্রবণতা বলে চিহ্নিত করলেন তিনি।

এদিকে বাংলা মাধ্যম সরকারি স্কুলের সংখ্যা বেড়েছে। সেখানের পরিকাঠামো উন্নত হয়েছে। স্কুলছুট যাতে কমে তার জন্য নানা পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। সেখানে বাংলা ভাষায় পড়াশোনার ঝোঁক কমছে বলে দাবি খোদ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। তাহলে কি ইংরেজি শিক্ষার ঝোঁক বাড়ছে?‌ এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গ্রামবাংলায় যদিও এই প্রবণতা কম। শহরে বাংলা ভাষায় বা বাংলা মাধ্যম স্কুলে না পড়ার প্রবণতা বেশি। এটাই সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। যখন বাংলাকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তখন এমন প্রবণতা চর্চিত হবেই।

ঠিক কী বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী?‌ এই বাংলা মাধ্যম স্কুলে পড়া বা বাংলা ভাষায় পড়াশোনা করার বিষয়ে প্রশ্ন ওঠে বিধানসভায়। অন্যদিকে তখন মঙ্গলবার বিধানসভায় এই প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‌বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলিকে কেমন করে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা করা যায় সেটার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই অনেক কাজ হয়েছে। পড়ুয়া অনুপাতে শিক্ষক নিয়োগের যুক্তিসঙ্গত প্রক্রিয়ায় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মাতৃভাষাকে মাতৃদুগ্ধ বলা হয়। কিন্তু সরকারি বা সরকার পোষিত স্কুলের বাইরে সমাজের একটা অংশ ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষার দিকে ঝুঁকছে।’‌ এটাকেই তিনি বিপজ্জনক প্রবণতা বলে আখ্যা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন:‌ কানে ফোন দিয়ে রাস্তা পারাপারে জরিমানা, পাত্তাই দিচ্ছেন না শহরবাসী বলছে পুলিশ

আর কী জানা যাচ্ছে? বাংলা ভাষায় শিক্ষা বা বাংলা মাধ্যম স্কুলের শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন বিজেপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁর বক্তব্য,‌ বাংলা মাধ্যমে পঠনপাঠনে কী করে ছাত্রসমাজকে আগ্রহী করা যায় সেটার চেষ্টা চালাতে হবে।’‌ বিজেপির বিধায়কের এই কথা শুনে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‌করোনাভাইরাস পর্বে যে সব শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করতে পারেনি তাদের জন্য ব্রিজ কোসের্র বই দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। শিক্ষা পোর্টালে ভিডিয়ো আপলোড করা হয়েছে। মাতৃভাষায় বাক্য গঠন ও কথা বলতে সমস্যা হচ্ছে অনেক পড়ুয়ার। তাই সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে ওরিয়েন্টশন কোর্স চালুতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’‌