Chandrayaan 3: চন্দ্রযান ৩–এর অবতরণ সফল হবে, আশাবাদী ইসরোর ২ বাঙালি বিজ্ঞানীর বাবা–মা

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরে চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে চন্দ্রযান ৩। আর সেই দৃশ্য সরাসরি দেখা যাবে ইসরোর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউবে। গোটা বিশ্ববাসী চন্দ্রযান ৩–এর অবতরণের দৃশ্য দেখতে পারবেন। তার জন্য অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছেন গোটা দেশবাসী। চন্দ্রযান ৩ চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করবে বলে আশায় রয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। একইভাবে আশাবাদী ইসরোর বিজ্ঞানী চন্দ্রকান্ত কুমার এবং তাঁর ভাই শশীকান্ত কুমারের পরিবার।

আরও পড়ুন: নোলানের সিনেমার আর্ধেকেরও কম বাজেটে চাঁদে ভারত, চন্দ্রযান নিয়ে কী বললেন মাস্ক?

ইসরোর জয়েন্ট সেক্রেটারি পদে কর্মরত রয়েছেন চন্দ্রকান্ত কুমার। তিনি চন্দ্রযান ২–এর ডিজাইনের দায়িত্ব ছিলেন। তাঁর ভাই শশীকান্ত কুমার ইসরোর মাইক্রোওয়েভ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গবেষক । আবার তব দুই ছেলেও ইসরোয় কর্মরত। চন্দ্রকান্ত এবং শশীকান্তের বাবা মধুসূদন কুমার এবং মা অসীমা দেবীও অধীর আগ্রহে চন্দ্রযান ৩–এর অবতরণের অপেক্ষায় চেয়ে রয়েছেন। চন্দ্রযান ৩–এর সফল অবতরণের জন্য তাঁরাও আশায় বুক বেঁধেছেন। তাঁরা অন্যান্যদের মতোই আজ চন্দ্রযান ৩–এর অবতরণের সরাসরি সম্প্রচার দেখবেন হুগলির গুরাপের খাজুরদহ মাজিনান শিবপুর গ্রাম থেকে। সেখানেই তাঁরা থাকেন। গতবার চন্দ্রযান ২ চাঁদের মাটিতে স্পর্শ করার আগেই ভেঙে পড়ায় আফসোস ছিল চন্দ্রকান্তের বাবা-মায়ের। তবে সেই ত্রুটিগুলো সরিয়ে এবার চাঁদের বুকে অবতরণ করতে চলেছে চন্দ্রযান ৩। ফলে এবার এই অভিযান সফল হবে বলেই তাঁদের আশা। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরে ১-২ বার বাড়িতে এসে বাবা মায়ের সঙ্গে সময় কাটান চন্দ্রকান্ত এবং শশীকান্ত। তবে প্রতিদিনই তাঁদের সঙ্গে কথা হয় বলে জানিয়েছেন পেশায় কৃষক মধুসূদন কুমার।

এই মুহূর্তে চাঁদের কক্ষপথে রয়েছে চন্দ্রযান ৩।  আজ সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে এই মহাকাশযান। ৫ টা ২০ থেকেই তার লাইভ সম্প্রচার দেখানো হবে ইসরোর ওয়েবসাইট এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্মে ও টিভিতে। প্রসঙ্গত, চার বছর আগে চন্দ্রযান ২ অভিযান ব্যর্থ হয়েছিল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চন্দ্রযান ৩–এর অবতরণকে কেন্দ্র করে অধীর আগ্রহে চেয়ে রয়েছেন গোটা দেশবাসী। বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি সেখান থেকেই চন্দ্রযান ৩–এর অবতরণের সম্প্রচার দেখবেন। উল্লেখ্য, ২০০১ সালে চন্দ্রযান ১ থেকে যে তথ্য পাঠিয়েছিল তাতে জানা গিয়েছিল প্রায় ৬০ হাজার কোটি লিটার জলীয় বরফ আছে চাঁদে। এবার চাঁদের দক্ষিণ মেরু সংলগ্ন এলাকায় জল আছে কিনা চন্দ্রযান ৩ থেকে সেই তথ্য পাওয়া যাবে।