Modi wears Rakhi in South Africa: দক্ষিণ আফ্রিকায় ‘বোন’ খুঁজে পেলেন মোদী, ব্রিকস সম্মেলনের মাঝে পরলেন রাখি

দক্ষিণ আফ্রিকায় বসাবসরত ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলারা রাখি পরালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। উল্লেখ্য, ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে বর্তমানে জহনাসবার্গে রয়েছেন মোদী। সেখানেই দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা মোদীকে রাখি পরান। সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছে সংবাদসংস্থা এএনআই। জানা গিয়েছে, মোদীকে যাঁরা রাখি পরিয়েছেন তাঁরা হলেন আরতী নানকচাঁদ সানন্দা এবং ডঃ সরেস পদ্যাচি। এর মধ্যে আরতী হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার আর্য্য সমাজের সভাপতি এবং সরেস পদ্যচি হলেন একজন লেখিকা।

এদিকে মোদীকে রাখি পরানোর আগে আরতী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদী আমাদের কাছে ঠিক ভাইয়ের মতো নয় বরং বাবার মতো। আমি মনে করি এখানে তাঁর উপস্থিতি আমাদের আস্বস্ত করে যে আমরাও এখানে থাকার যোগ্য। প্রধানমন্ত্রী মোদী বিশ্বকে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ – এক পৃথিবী, এক পরিবার হিসাবে দেখেন। বেদ থেকে শিক্ষা নিয়ে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় বড় পরিবর্তন আনতে চলেছেন।’ এদিকে সরেস বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদীজিকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি। কারণ তিনি অনেক ক্ষেত্রে পরিবর্তনের জন্য বিশাল অবদান রেখেছেন। কেবল ভারত নয়, দক্ষিণ আফ্রিকাও এই সব পরিবর্তনের জন্য উপকৃত হবে।’

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছালে ভারতীয় প্রবাসীরা প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। সেই সময়কার বিভিন্ন ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রবাসী সদস্যদের সাথে করমর্দন করছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ মোদীর পা স্পর্শ করেছেন। উল্লেখ্য, ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য আগামী ২৪ অগস্ট পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকবেন নরেন্দ্র মোদী। এরপর তিনি গ্রিসের উদ্দেশে রওনা দেবেন।

এদিকে জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনের প্রথম দিনে ‘বিজনেস ফোরাম লিডার্স ডায়লগ’-এ ভারতের পরিকাঠামো এবং ডিজিটাল ক্ষেত্রের উপর জোর দেন মোদী। যা আর্থিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তিনি। মোদী জানান, করোনাভাইরাস মহামারী, যুদ্ধ ও সংঘাতের জেরে বিশ্বের অর্থনীতি যখন ধুঁকছে, সেইসময় ব্রিকসের গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মোদী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও বিশ্বের সবথেকে বড় অর্থনীতির দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে আর্থিক বৃদ্ধি হচ্ছে ভারতে। শীঘ্রই পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে ভারত। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে আগামীতে বিশ্বের আর্থনৈতিক বৃদ্ধির ইঞ্জিন হয়ে উঠবে ভারত।’