‘‌তখন আমি মোহনবাগানে খেলতাম, এখন খেলছি ইস্টবেঙ্গলে’‌, বিস্ফোরক মন্তব্য বাবুলের

একদা ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অধুনা তিনি রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী। আগের শিবিরটা ছিল গেরুয়া। আর এখনের শিবিরটা নীল–সাদা। পদ্মফুল থেকে ঘাসফুলে বিচরণ করেছেন তিনি। তখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের প্রবল বাধা ও বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তিনি। এখন দল বদলেছেন। কিন্তু সেদিনের কথা ভুলে যাননি। তাই আজ সরাসরি ব্যাকভলি করে গোল দিলেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি বাবুল সুপ্রিয়। আজ, শনিবার ফের বাবুল সুপ্রিয়র মুখে শোনা গেল অতীতের কথা। তবে এবার তিনি যা বললেন তাতে নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

ঠিক কী বলেছেন মন্ত্রী?‌ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তোলপাড় অবস্থা এখন রাজ্যে। এই নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী। মন্ত্রীর কথায়, ‘‌যাদবপুরে যা হচ্ছে সেটা একদিন আরও বড় বিপদ ডেকে আনবে। সারাদিন ওই বামপন্থী নকশালগুলি ওখানে গুন্ডামি করেছিল। একজনও গিয়ে নড়াতে পারেনি। আমি ওখানে গিয়ে বসেছিলাম।’‌ আগামী ২৮ অগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। তাই উত্তর ২৪ পরগণার টিটাগড়ে এক দলীয় সভার আয়োজন করা হয়েছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে। সেখানে হাজির ছিলেন বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়। প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে যাদবপুর কাণ্ড নিয়ে কড়া মন্তব্য করেন তিনি।

আর কী বলেছেন বাবুল?‌ ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের হাতে নিগৃহীত হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে উদ্ধার করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বহুক্ষণ আটকে থাকতে হয়েছিল তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। তখন যাদবপুরে সেই পড়ুয়াদের কড়া সমালোচনা করে বাবুল বলেছিলেন, ‘‌অসভ্যই বলব। এরা যাদবপুরের সম্মান ভূলুন্ঠিত করছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে রাজনীতির নতুন আখড়া করে দেওয়া হচ্ছে।’‌

আরও পড়ুন:‌ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি বসানোর খরচ বিপুল, টাকা দেবে কে?‌ চিন্তায় কর্তৃপক্ষ

আর এখন কী বলছেন?‌ তিনি বিজেপিকে মোহনবাগান দলের সঙ্গে তুলনা করেছেন। আর তৃণমূল কংগ্রেসকে ইস্টবেঙ্গল দলের সঙ্গে তুলনা করেছেন। সেই মোহনবাগান দলের জন্য ১০ গোল করে থাকলে এখন তৃণমূল কংগ্রেস ইস্টবেঙ্গল দলের জন্য ২১ গোল করবেন বলে জানিয়েছেন। টিটাগরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠানে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বালিগঞ্জের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘‌তখন আমি মোহনবাগানে খেলতাম। এখন তোমাদের হয়ে খেলছি ইস্টবেঙ্গলে। ওই দলের হয়ে যদি আমি ১০ গোল করি। তোমাদের হয়ে আমি ২১ গোল করব। এইটুকু বলে দিলাম। মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে আমি যা ভালবাসা পেয়েছি। তা বিন্দুতে বিন্দুতে দেওয়ার চেষ্টা করব।’‌