Migrant workers death: মিজোরামের পর দিল্লি, নির্মাণ কাজে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু বাংলার ৩ শ্রমিকের

মিজোরামে নির্মীয়মান রেল সেতু ভেঙে মৃত্যু হয়েছে মালদহের ২৩ জনের। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ভিন রাজ্যে মৃত্যু হল বাংলার ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের। এবার ঘটনাস্থল দিল্লি। নির্মাণ কাজে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দিল্লিতে মৃত্যু হল বাংলার ৩ শ্রমিকের। ৩ জনেই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার। তবে পরিবারের সদস্যরা মৃত্যুর খবর জানতে পারেন শনিবার। তারপরে শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে ময়নাতদন্তের পর ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের দেহ পাঠানো হবে বাড়িতে। 

আরও পড়ুন: রাজ্যপাল কীভাবে রেলের হয়ে ক্ষতিপূরণ দিলেন, প্রশ্ন তৃণমূলের

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম হল ইসরাইল শেখ (৩৩), শুভঙ্কর রায় (৩১) এবং গোকুল মণ্ডল (৪৪)। তিনজনেই দিল্লিতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে ইসরাইল ফারাক্কার ইমামনগরের বাসিন্দা। গোকুল ধুলিয়ান পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং ওই পুরসভারই পার্শ্ববর্তী ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শুভঙ্কর। একটি নির্মীয়মাণ বহুতলে কাজ করার সময় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।  

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে সিদ্ধার্থ বিহারের একটি নির্মীয়মাণ বহুতলে। ওই বহুতলের ২৪ তলায় শ্রমিকরা কাজ করছিলেন। শুক্রবার তাঁরা পেইন্ট ট্রলি ঝোলানোর জন্য একটি লোহার তার ব্যবহার করেন। সেটি কোনওভাবে বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে চলে আসে। তাতেই তিনজনের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়। পুলিশ সুপার (সিটি ১) নিমিশ পাতিল জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে অসাবধানতাবশত ওই শ্রমিকরা বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে চলে এসেছিলেন। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ঘটনার পরে, অন্যান্য শ্রমিকরা তড়িঘড়ি তিনজনকে উদ্ধার করে বিজয় নগরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

 এবিষয়ে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্যরা দিল্লিতে আসার পর অভিযোগ দিলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে ওই বহুতলে শ্রমিকদের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল কি না? সেক্ষেত্রে সংস্থার কোনও গাফিলতি ছিল কি না সেবিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।’ উল্লেখ্য, মাসদুয়েক আগে মুর্শিদাবাদ থেকে রাজমিস্ত্রির কাজের জন্য তিন শ্রমিক দিল্লির  গাজিয়াবাদে গিয়েছিলেন। কিন্তু, আর তাঁদের ফেরা হল না।