দুয়ারে জাতীয় নির্বাচন, ভারতকে পেঁয়াজ রফতানি স্বাভাবিক করতে আর্জি বাংলাদেশের

পেঁয়াজ উৎপাদনে ঘাটতি থাকায় বাংলাদেশ সহ সব দেশে পেঁয়াজ রফতানি আপাতত বন্ধ রেখেছে ভারত। গত বছর ভারত কয়েক ঘন্টার নোটিশেই বাংলাদেশে পেয়াজ পাঠানো বন্ধ করেছিল। প্রতিবেশী দেশে পেঁয়াজের চাহিদার ৪৫ শতাংশই মেটায় ভারত। সেই সময় ঠিক হয় যে সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বাংলাদেশের রফতানি করা হয়, সেগুলিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হলেও বিশেষ কিছু ছাড় থাকবে। এবার বাংলাদেশের পেয়াজ রফতানি স্বাভাবিক করতে তাই ভারত সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার।

প্রসঙ্গত রাজস্থানের জয়পুরে জি ২০ সম্মেলন চলাকালীন নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন পীযূষ গোয়েল ও বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি। এই বৈঠকেই পেঁয়াজ রফতানি স্বাভাবিক করার আবেদন জানান বাংলাদেশের মন্ত্রী। প্রসঙ্গত, প্রতিবেশী দেশ ভুটানের জন্য রফতানি বিষয়ে কিছু ছাড়পত্র দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশ আশা করে রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও কিছু সমাধান সূত্র মিলবে। তবে গত সপ্তাহেই পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছে ভারত সরকার। ঘোষণা করা হয়েছে ২০২৩ সাল জুড়ে এই শুল্ক হারই আরোপিত থাকবে রফতানির ক্ষেত্রে। আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতেই বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সেই দিক থেকে পেঁয়াজসহ অন্যান্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি রোধ করাই এখন শেখ হাসিনার অন্যতম লক্ষ্য।

দীর্ঘদিন ধরে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে শেখ হাসিনা সরকার। প্রসঙ্গত বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অনুরোধ জানান, ভারত যেন প্রতিশ্রুতি মতো বাংলাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলির অবাধ রফতানির বিষয়টি সুনিশ্চিত করে।

পীযূষ গোয়েল এই প্রসঙ্গে জানান, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে ভারতের অভ্যন্তরেও সমস্যায় পড়ছে সরকার। তবে এর সাথে সাথে তিনি এও আশ্বস্ত করেন, প্রতিবেশী দেশকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালনে বদ্ধপরিকট ভারত। এল নিনো-সহ আবহাওয়া জনিত সমস্যার কারণে পেঁয়াজের চাষ এ’বছর মার খেয়েছে। ফলে রপ্তানির ক্ষেত্রে কিছুটা লাগাম টানতে হয়েছে ভারতকে। সার্বিকভাবে কবে বাংলাদেশের জন্য ভারতের পেঁয়াজ রফতানি মুক্ত হবে, এই বিষয়ে সুনিশ্চিত করে কোনও খবর পাওয়া যায়নি। নির্বাচনের প্রাক্কালে দ্রুত রফতানি স্বাভাবিক হওয়ার আশায় রয়েছে বাংলাদেশ।