দত্তপুকুরকাণ্ডে জোড়া মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে, CBI ও NIA তদন্তের দাবি BJP-র

দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে পুলিশের বিরুদ্ধে নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের করল বিজেপি। রাজ্য পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার নিয়ে সিবিআই এবং এনআইএ’‌র হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে আজ, সোমবার গ্রেফতার হয়েছেন একজন। এখন সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা ৯ জনে পৌঁছেছে বলে খবর। তার মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজর্ষি লাহিড়ী। সিবিআই ও এনআইএ তদন্তের দাবিতে মামলা করা হয়েছে।

এদিকে আজ, সোমবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলার আবেদন করা হয়। এই মামলাটি গ্রহণ করেছে বেঞ্চ। মঙ্গলবার সকালে মামলার শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে খবর। এই মামলাকারীর আইনজীবীর অভিযোগ, দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতার জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে। রাজ্য পুলিশের হাতে তদন্তভার থাকলে প্রভাবিত করা হতে পারে। এমনকী নষ্ট করে দেওয়া হতে পারে বিস্ফোরণ কাণ্ডের তথ্য। তাই সিবিআই–এনআইএ দিয়ে তদন্ত করা জরুরি। এই বিস্ফোরণ কেমন করে ঘটল?‌ এত মানুষ কীভাবে মারা গেলেন?‌ গোটা বিষয়টিই যাতে এনআইএ খতিয়ে দেখে সেটা উল্লেখ করা হয়েছে।

অন্যদিকে রবিবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দত্তপুকুরের মোচপোল গ্রাম। এখানে বিস্ফোরণের তীব্রতায় নিহতদের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় অনেকের। বিস্ফোরণের অভিঘাতে সাতজনের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। আজ আবার দু’‌জনের দেহ মিলেছে বলে খবর। সোমবার সকালেও এক প্রতিবেশীর বাঁশ বাগানের পাশে পরে থাকতে দেখা যায় দেহ থেকে ছিন্ন হওয়া মাথা। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছিল তার অদূরে আজ সকালে উদ্ধার হয়েছে একটি কাটা হাত। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ সব জেনেও নিস্ক্রিয় ছিল। পুলিশ উদ্যোগী হলে এত মানুষের মৃত্যু এড়ানো যেত। আজ এখানে যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা–সহ বিজেপি বিধায়কদের প্রতিনিধি দল।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌আমরা একসঙ্গে কাজ করব’‌, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে টুইট মমতা–অভিষেকের

আর আজ বিজেপি ও সিপিএমের পক্ষ থেকে সোমবার পৃথকভাবে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‌কোন শব্দ তৈরি করতে গেলে স্টোনচিপস লাগে? ওই এলাকায় স্টোন চিপস– সহ একাধিক রাসায়নিক বস্তুর সন্ধান মিলেছে। ওই এলাকায় লুকিয়ে বোমা তৈরি হতো, মারণাস্ত্র তৈরি করা হতো। আর এখন জেলায় জেলায় এই বোমা তৈরি হচ্ছে। আর এই তদন্ত রাজ্য পুলিশকে দিয়ে হবে না।’‌ সুতরাং এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নিয়ে আসতে চায় তাঁরা। তার জন্যই এই জনস্বার্থ মামলা।