কংগ্রেস ইসরোর জন্য টাকা বরাদ্দ করত না, বিস্ফোরক বৈজ্ঞানিক নাম্বি নারায়ণন

কংগ্রেস কি ইসরোর জন্য টাকা বরাদ্দ করেনি? প্রাক্তন বিজ্ঞানীর চাঞ্চল্যকর দাবি নিয়ে অস্বস্তিতে ভারতের গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। তড়িঘড়ি মুখপাত্রদের এই দাবি খণ্ডন করার জন্য নামাতে হয়েছে দলকে। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োতে ইসরোর প্রাক্তন বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণন বলেছেন, ‘কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন পূর্ববর্তী সরকারের ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার উপর কোনও বিশ্বাস ছিল না এবং চাঁদের মিশনের জন্য এটির কোনও বাজেট বরাদ্দ ছিল না।

দ্য নিউ ইন্ডিয়ান-এর সাথে একটি সাক্ষাত্কারে, নারায়ণন চন্দ্রপৃষ্ঠের টাচডাউন পয়েন্টকে ‘শিব শক্তি’ হিসাবে নাম দেওয়ার প্রধানমন্ত্রী মোদীর ঘোষণা নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং কংগ্রেসের মধ্যে হওয়া লড়াই নিয়েও কথা বলেন। কংগ্রেস চন্দ্রযান-৩ মিশনের জন্য ‘ক্রেডিট চুরি’ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে অভিযুক্ত করেছিল।

‘আপনি প্রধানমন্ত্রীকে পছন্দ নাও করতে পারেন, এটা আপনার সমস্যা। তবে তা প্রধানমন্ত্রীর। এর জন্য আর কে কৃতিত্ব পাবে? আগের কংগ্রেস সরকার আমাদের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল বরাদ্দ করেনি। ইসরোতে তাদের কোনো বিশ্বাস ছিল না,’ বলেছেন ভারতীয় মহাকাশ সংস্থার প্রাক্তন বিজ্ঞানী। প্রসঙ্গত মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন নাম্বি নারায়ণন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল সংবেদনশীল তথ্য বিদেশিদের পাচার করার। যদিও শেষ পর্যন্ত কিছু পাওয়া যায়নি, বেকসুর খালাস হয়েছিলেন তিনি। তাঁর জীবন নিয়েই রকেট্রি ছবিটি বানিয়েছেন মাধবন যেটি হালে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। 

এর আগে কংগ্রেস জওহরলাল নেহরুর ‘অবদান হজম করতে অক্ষম’ ব্যক্তিদের উপর তোপ দেগেছিল। তাদের দাবি ছিল যে ইসরোর শুরু হয়েছিল নেহরুর হাত ধরে এবং তিনি সক্রিয় ভাবে বিজ্ঞানচর্চায় উৎসাহ দিয়েছেন। 

কংগ্রেস এবং বিজেপি ভারতের মহাকাশ কর্মসূচিতে নেহেরু এবং অন্যান্য কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রীদের অবদান নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছে। বিজেপির দাবি তারা আসার পরেই মহাকাশ বিজ্ঞানে দ্রুত উন্নতি করেছে ভারত। 

রবিবার এক্স-এ একটি পোস্টে, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (যোগাযোগ) জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘নেহেরু বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রচার করতেন। যারা ISRO প্রতিষ্ঠায় তার অবদান হজম করতে অক্ষম তাদের টিআইএফআর (টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ) এর প্রতিষ্ঠা দিবসে তার বক্তৃতা শোনা উচিত।’ 

 কংগ্রেসের দাবি ভারতের মহাকাশ যাত্রা ৬২ সালে INCOSPAR গঠনের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল, যা হোমি ভাবা এবং বিক্রম সারাভাইয়ের দূরদৃষ্টির ফল এবং দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরুর উৎসাহের ফসল। তার সাত বছর পরে বিক্রম সারাভাই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) প্রতিষ্ঠা করেন।