JU student death: ভবিষ্যতে ওরা চন্দ্রযান মিশনে যেতে পারত, যাদবপুর কাণ্ডে বললেন অভিযুক্তের উকিল

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে ধৃতদের মামলা চলার সময় উঠে আসল চন্দ্রযান প্রসঙ্গ। সোমবার আদালতে ৬ জন ধৃতকে আদালতে পেশ করা হয়। তাদের জামিনের আবেদন জানানোর সময় আইনজীবী চন্দ্রযানের প্রসঙ্গ তোলেন। আদালতকে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে এই ছেলেরা চন্দ্রযান মিশনে যেতে পারত।’ তিনি অভিযোগ করেন, ওই ছাত্রদের বিরুদ্ধে পুলিশ খুনের ধারা যোগ করে তাদের ক্যারিয়ার এবং ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে চায়ছে। যদিও তার বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী।

আরও পড়ুন: যাদবপুরে CCTV বসানো নিয়ে ফেটসু ও আফসু-র সঙ্গে কথা কাটাকাটি, রেগে লাল উপাচার্য

সোমবার আদালতে তোলা হয় ধৃত ৬ পড়ুয়া মহম্মদ আসিফ আজমল, মহম্মদ আরিফ, অঙ্কন সর্দার এবং তিন প্রাক্তনী অসিত সর্দার, সুমন নস্কর এবং সপ্তক কামিল্যাকে। তখন তাদের জামিনের আবেদন জানানোর সময় চন্দ্রযানের প্রসঙ্গে তোলেন তাদের আইনজীবী। তার পালটা সরকারি আইনজীবীর সাওয়াল, ‘কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। বিজ্ঞানী হলেও খুনের অধিকার কারও নেই।’ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চন্দ্রযানে যে বাঙালি ছেলে রয়েছেন তিনি সাউথ পয়েন্ট স্কুলের ছাত্র। তিনি যদি খুন করেন তার বিরুদ্ধেও ৩০২ ধারা দেওয়া হবে।’

সরকারি আইনজীবীর আদালতকে জানান, ধৃতরা সাইবার সম্পর্কে অত্যন্ত দক্ষ। সেই কারণে তাদের ল্যাপটপ, মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেগুলি থেকে কোনও কিছু তথ্য মুছে ফেলা হয়েছিল কিনা তা জানার জন্য ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট এখনও আসেনি তাই রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত তাদের হেফাজতে থাকা প্রয়োজন তিনি বলে উল্লেখ করেন। 

প্রসঙ্গত, তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ছাত্র মৃত্যুর পরে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়েছিল। তাতে পুলিশকে কী বলতে হবে তা শিখিয়েছিল ধৃত সৌরভ চৌধুরী। যদিও ধৃতদের আইনজীবীর দাবি, এমন কোনও প্রতক্ষ্যদর্শীরা নেই যে তাদের ঘটনার সঙ্গে জড়িত হতে দেখেছে। পুলিশ হয়রানি করার জন্য তাদের গ্রেফতার করেছে। তাদের আইনজীবী জামিনের আবেদন জানালেও সরকারি আইনজীবী ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন জানান। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর এদিন ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধৃতদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। অন্যদিকে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজন সৌরভ চৌধুরী, মনোতোষ ঘোষ এবং দ্বীপশেখর দত্ত ইতিমধ্যেই বিচার বিভাগীয় তদন্তে রয়েছেন। আরও তিনজন শেখ নাসিম আখতার, হিমাংশু কর্মকার এবং সত্যব্রত রায় এখনও পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ওই তিনজনকে আগামী বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করানো হবে।