High Security: বুক শুকিয়ে যাবে জঙ্গিদের, জি-২০ সামিটের সুরক্ষায় মোতায়েন হচ্ছে NSG কমান্ডো, তৈরি থাকছে হেলিপ্যাড

দিল্লির আইটিপিওতে জি-২০ সামিট। তার আগে গোটা এলাকা একেবারে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হচ্ছে। একেবারে মাছি গলতে পারবে না। এতো নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনী। ৪ নম্বর হলের কাছে একটা হেলিপ্যাডও তৈরি করা হচ্ছে। যদি প্রয়োজন হয় তবে এনএসজির স্পেশাল কমান্ডোরা ঝাঁপিয়ে পড়বেন। হেলিকপ্টারে তাঁরা ওখানে নামতে পারবেন। গত দুমাস ধরে সেকারণে মহড়া দিয়েছে এনএসজি। ভিভিআইপিদের রক্ষা করাটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। প্রয়োজনে ভিভিআইপিদের গাড়িও হেলিকপ্টারে করে বের করে আনা যাবে।

স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা আইটিপিও ঘুরে দেখেছেন। তখনই তিনি হেলিপ্যাড তৈরির ব্যাপারে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এনএসজির তরফ থেকে বলা হয়েছে প্রয়োজনে তারা হেলিকপ্টার নিয়ে অপারেশনে নামতে পারে। তবে যদি প্রয়োজন হয়। ৪ নম্বর হলের কাছে একটি হেলিকপ্টারও রাখা থাকবে।

এমনকী কোনও সমস্যা দেখা দিলে আইটিপিও থেকে হোটেল পর্যন্ত আসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। জঙ্গি হামলা রুখতে ২০০ এনএসজি জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। ড্রোন অ্যাটাক রুখতে স্পেশাল এনএসজি কমান্ডো ফোর্সও থাকছে।

এদিকে গোটা বিশ্ব থেকে ভিভিআইপিরা আসবেন। সেক্ষেত্রে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না দেশ। কেমিক্যাল, বায়োলজিকাল, রেডিয়েশন, নিউক্লিয়ার হামলা রুখতে তৈরি রয়েছে বিশেষ টিম। মোতায়েন থাকছে এনডিআরএফ।

দিল্লি পুলিশের পাশাপাশি সিআইএসএফ, সিআরপিএফ,এসপিজি, এনএসজি থাকছে।

এদিকে হোটেলগুলির উপরেও নজর রাখা হচ্ছে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যাতে হেলিকপ্টার নামার মতো পরিস্থিতি রয়েছে কি না সেটা দেখা হচ্ছে। রাস্তার তুলনায় কমান্ডোরা যাতে দ্রুত হেলিকপ্টারে যেতে পারেন সেটাও দেখা হচ্ছে।

এর পাশাপাশি পার্কিং এলাকায় নজর রাখা হচ্ছে। যেখানে মূলত ভিআইপিদের গাড়ি থাকবে সেখানে যেন ব্যবস্থা, সুরক্ষা সব ঠিকঠাক থাকে।