উত্তরপ্রদেশে একেবারে হাড়হিম করা ঘটনা। উত্তরপ্রদেশের বাদাউন এলাকায় এক মহিলা তার স্বামীর গলার নলি কেটে খুন করেছে বলে অভিযোগ। ওই ব্যক্তি তার ১৯ বছর বয়সি ননদকে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করত বলে অভিযোগ। সেই তরুণীকে বাঁচানোর জন্য ওই মহিলা তার স্বামীর গলার নলি কেটে খুন করেন বলে অভিযোগ। বাড়ির উঠোনে ঘুমিয়ে ছিলেন স্বামী। সেই সময় কাস্তে দিয়ে তার গলার নলি কেটে দেন স্ত্রী। অভিযোগ এমনটাই।
তবে পুলিশ খুনের অভিযোগে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। মৃত ব্যক্তির নাম তেজেন্দ্র সিং। বয়স ৪৩ বছর। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি তাদের বাড়ির উঠোনে শুয়েছিলেন। সেই সময় তাকে খুন করা হয়। তবে তেজেন্দ্রর পরিবার প্রথমে দাবি করেছিল, কোনও এক অজানা ব্যক্তি তেজেন্দ্রকে খুন করে পালিয়েছে।
এরপর পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে কে খুন করল তেজেন্দ্রকে?
পুলিশ এরপর তেজেন্দ্রর স্ত্রী মিথিলেশ দেবীকে জেরা করা শুরু করে। কিন্তু বার বার বয়ান বদল করছিলেন মিথিলেশ। এনিয়ে পুলিশের সন্দেহ ক্রমশ বাড়তে থাকে। এরপর তাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা শুরু করে পুলিশ। একটা সময় তিনি ভেঙে পড়েন।শেষ পর্যন্ত তিনি খুনের কথা স্বীকার করে নেন।
কিন্তু কেন তিনি তার স্বামীকে খুন করলেন? একাধিক মিডিয়া রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তিনি জানিয়েছেন, আমি স্বামীর হাত থেকে বাঁচার রাস্তা খুঁজছিলাম। সেই রাতে স্বামী মদ্য়প অবস্থায় বাড়ি ফেরেন। এরপর তিনি বাড়ির বাইরে উঠোনে শুয়ে পড়েন। আমি কাস্তে দিয়ে ওর গলা কেটে দিয়েছিলাম। ননদকে বাঁচাতে এই কাজ আমায় করতে হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওই অস্ত্রটির ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তাকে আপাতত জেলে পাঠানো হয়েছে। কার্যত পুলিশের জেরায় ভেঙে পড়েই তিনি খুনের ঘটনার কথা স্বীকার করে নেন। এরপরই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল।