Dhupguri ByElection:ওকে ৫ তারিখের আগে অন্য জেলায় পাঠাতে হবে, ধূপগুড়িতে কমিশনের কাছে নালিশ শুভেন্দুর

ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনের আগে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকের সঙ্গে বৈঠক করে ২ আধিকারিকের বদলির দাবি তুলল বিজেপি। বৃহস্পতিবার ধূপগুড়ি গিয়ে কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও জলপাইগুড়ির সাংসদ চিকিৎসক জয়ন্ত রায়।

এদিনের বৈঠক সেরে বেরিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আমরা বলেছি পঞ্চায়েতে ভোট লুঠে পুলিশ ও প্রশাসন যুক্ত ছিল। ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার পরেও তাদের বসিয়ে রাখা হয়েছিল। কৌশিক চন্দ বলে একজন রাজ্য সরকারি আধিকারিককে পাঠানো হয়েছে এখানে। এই ব্যক্তি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালের পৌরপ্রধানকে নিয়ে গণনাকেন্দ্রে ঢুকে গণনা লুঠ করার নায়ক। কৌশিক চন্দকে ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের সমস্ত কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছি আমরা’।

একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এছাড়া বানারহাটের ওসি শান্তনু সরকার যিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ৫১ জন বিজেপি কার্যকর্তাকে চার্জশিট দিয়ে জেলে ঢোকানোর ব্যবস্থা করেছিলেন যে চার্জশিট আদালত প্রত্যাখ্যান করেছেন। পঞ্চায়েতের ভোটগণনার দিন বানারহাটে সাংবাদিকরা আক্রান্ত হয়েছিলেন তৃণমূলি গুন্ডাদের হাতে। সেই ঘটনায় FIR দায়ের হয়েছিল। কিন্তু এখনো কেউ গ্রেফতার হননি। শান্তনু সরকার জলপাইগুড়ির বাসিন্দা। আমরা তাঁকে জেলার বাইরে বদলি করার দাবি জানিয়েছি। ৫ তারিখ পর্যন্ত কোনও ভাবে যেন ওকে জেলায় দেখা না যায়’।

শুভেন্দুবাবুর অভিযোগ, ‘ও বিজেপির বুথ সভাপতি ও ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নেতাদের বাড়িতে গিয়ে আক্রমণ করছেন। তার মধ্যে তপশিলি উপজাতিভুক্ত, নমঃশূদ্র, রাজবংশী নেতা আছেন আমাদের। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ওখানে যাদের যাদের বাড়িতে IC যাচ্ছেন তাদের বাড়িতে আমরা কালকে সিসিটিভি লাগাব। যাতে পুলিশ ভোটের আগে বিজেপির কোনও বুথ স্তরের সংগঠনকে গ্রেফতার করতে না পারে। তার পর প্রমাণ নিয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে যাব ও ওই পুলিশকে সাসপেন্ড করাব’।