Coromandel Train Accident: করমণ্ডল ট্রেন দুর্ঘটনায় সিবিআই চার্জশিট, রয়েছে তিন রেলকর্মচারীর নাম, ভয়াবহ ‘কুকীর্তি’ তাদের

বালাসোর ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে চার্জশিট জমা করল সিবিআই। সেখানে তিনজন রেল কর্মচারীর নাম উল্লেখ করা রয়েছে। ট্রেন দুর্ঘটনার পরে তদন্তে নেমে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা করল সিবিআই। সেই রেল কর্মচারীরা হলেন, অরুন কুমার মহাপাত্র, মহম্মদ আমির খান ও পাপ্পু কুমার।

গত জুলাই মাসে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। অরুন কুমার মোহন্ত সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার, মহম্মদ আমির খান হলেন সেকশন ইঞ্জিনিয়ার ও টেকনিশিয়ান পাপ্পু কুমারকে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল। তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সিবিআই। তাদের বিরুদ্ধে ৩০৪ ধারা ও ২০১ ধারায় মামলা করা হয়েছিল।

এদিকে ভুবেশ্বরের স্পেশাল জাজ সিবিআইয়ের কেস ডায়েরি দেখে জানিয়েছিলেন, ৯৪ নম্বর লেবেল ক্রশিংয়ের কাজ পরিচালনা করছিলেন মোহন্ত। কিন্তু সেক্ষেত্রে সিনিয়র ডিএসটিইর কোনও ছাড়পত্র ছিল না। সার্কিট ডায়াগ্রাম তিনি মানেননি বলে অভিযোগ।

২ জুন ২০২৩। বালাসোরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস, হাওড়াগামী শালিমার এক্সপ্রেস ও একটি মালগাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ। সেই দুর্ঘটনা কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। সব মিলিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ২৯১জনের। প্রায় ১০০০ জন আহত হয়েছিলেন।

এরপর সেই দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছিল। সিবিআইও এই ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্তে নামে। এরপর তিন রেল কর্মচারীকে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল।

সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল বাগানাগা বাজার স্টেশনের কাছে লেবেল ক্রশিংয়ের ৯৪ নম্বর গেটটির কাজ করেছিলেন মোহন্ত। আর সবথেকে উদ্বেগের বিষয় হল ৭৯ নম্বর গেটের ডায়াগ্রাম ব্যবহার করে ৯৪ নম্বর গেটের কাজ করা হয়েছিল।

ওই ব্যক্তির দায়িত্ব ছিল সিগন্যাল বদল, গেটের কাজ ঠিকঠাক হচ্ছে কি না এগুলি লক্ষ্য রাখা। কিন্তু তিনি এনিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেননি বলে অভিযোগ। আর তার জেরেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এমনটাই তদন্তে উঠে আসে। এবার সেই তিন রেল কর্মীর নাম উল্লেখ করা হল সিবিআইয়ের চার্জশিটে।