Ranaghat Robbery: পুলিশের চেহারা না থাক সাহসে জুড়ি মেলা ভার, ডাকাত ধরার স্বীকৃতি পেলেন রতন রায়

রানাঘাটে ডাকাত দলকে একাই ধরাশায়ী করেছিলেন এএসআই রতন রায়। ভারী শরীর নিয়ে তিনি যেভাবে বন্দুক উচিয়ে ডাকাত দলের পিছু ধাওয়া করেছিলেন তার জন্য তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলেই। তাঁর দৌলতে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় সাফল্য পেয়েছিল রানাঘাট থানার পুলিশ। এবার সাহসিকতার জন্য পুরস্কৃত হলেন এএসআই রতন রায়। পুলিশ দিবসে তাঁকে সম্মানিত করেন রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কে কান্নান।

আরও পড়ুন: রানাঘাটে গ্রেফতার ডাকাত কুন্দন কুমারই রাজু ঝার খুনি, দাবি পুলিশের

মঙ্গলবার রানাঘাটে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গুলির লড়াই কার্যত সিনেমার দৃশ্যকে হার মানিয়ে দিয়েছিল। অকুতোভয় ওই অফিসারের গুলিতে ঘায়েল হয়েছিল ২ ডাকাত। তিনি যেভাবে একাই দুষ্কৃতীদের সঙ্গে লড়াই করেছেন তাতে মুগ্ধ রানাঘাটবাসী থেকে শুরু করে পুলিশ কর্মী, আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, ওই সোনার আউটলেটে ডাকাত দল হানা দেওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই রতন বাবুকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল রানাঘাট থানার পুলিশ। এরপর তিনি কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ফলে তড়িঘড়ি পোশাক পরার সময়টুকুও পাননি।

তিনি জানান, মোট ৪ জন অফিসার এবং ৬ জন পুলিশ কর্মী ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। এরপর পুলিশকে দেখেই সোনার দোকান থেকে বেরিয়ে গুলি ছুড়তে শুরু করে দুষ্কৃতীরা । রতনবাবুর শরীরের ওজন ১০২ কেজি হওয়ায় দুষ্কৃতীদের পিছু ধাওয়া করতে তাঁর সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু, তা সত্ত্বেও তিনি দমে যাননি। পালটা গুলি চালিয়ে তিনি দুষ্কৃতীদের কিছু ধাওয়া করেন। গুলি লাগতে পারে সেই ভয় তাঁর ছিল না, তিনি একটাই কথা ভাবছিলেন যে কোনওভাবে তাদের ধরতে হবে। এই ঘটনার পরেই গোটা নেটপাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে রতন বাবুর সেই সাহসিকতার ভিডিয়ো। শুধু পুলিশের উপর মহলের আধিকারিকরাই নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রতন রায়ের এই সাহসিকতার প্রশংসা করেছিলেন।

তাঁকে সম্মাননা দেওয়ার পর রানাঘাট পুলিশ জেলা সুপার কে কান্নান বলেন, ‘রতন রায় তাঁর সাহসিকতার দিয়ে পুলিশকে গর্বিত করেছেন। তাঁর এই কাজ অন্যান্য পুলিশ অফিসার এবং কর্মীদের উৎসাহিত করবে।’ সম্মানিত হওয়ায় খুশি মুর্শিদাবাদের লালবাগের বাসিন্দা রতন রায়। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও বেজায় খুশি। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের সম্মান ভালো কাজ করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।  আমি শুধু নিজের কর্তব্যটুকু পালন করেছি।’