Holiday cut in Bihar: ভালো কাজ করেছেন! বিহারে ছুটি কমানো নিয়ে শিক্ষা আধিকারিকের পাশে নীতীশ

অরুণ কুমার

স্কুলের ছুটিতে কাটছাঁট করা হয়েছে বিহারে। বছরের আর যে কয়েক মাস বাকি রয়েছে তাতে যাতে লম্বা ছুটি না থাকে সেব্যাপারে চেষ্টা চালিয়েছে বিহার শিক্ষাদফতর। তবে এনিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এমনকী শিক্ষকদের সংগঠনের তরফেও এনিয়ে নানা কথা বলা হচ্ছে। তবে এবার রাজ্যের শিক্ষা বিভাগের এই উদ্যোগের পাশে থাকলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।

এই ছুটিতে কাটছাঁট নিয়ে সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সামনে বলেন, দেখুন সকলেই চান স্কুলে যেন পড়াশোনাটা ঠিকঠাক করে হয়। যদি শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা এটা চান তবে দোষের কি আছে? যদি কারোর কিছু বলার থাকে তবে তারা আমাকে বলতে পারেন। আমি এখানে সব শুনতে রাজি। তিনি একটা ভালো কাজ করেছেন। আমি চাই সকলে যেন পড়াশোনাটা ঠিকঠাক করে।

মূলত অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি ( শিক্ষা) কেকে পাঠক এই নির্দেশিকা জারি করেছিলেন। যাতে ছুটি কমিয়ে স্কুল দিবস বৃদ্ধি করা যায় তার চেষ্টা তিনি করেছিলেন। এর জেরে শিক্ষকদের একাংশের মধ্য়ে তীব্র ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে। অনেকেই ওই আধিকারিককে বরখাস্ত করা হোক এটা চাইছেন। তবে তিনি নিজে অবশ্য় এনিয়ে বিশেষ কিছু বলেননি। তিনি খালি বলেন, আমিও অনেক কিছু শুনে যাচ্ছি। কিন্তু কারোর যদি কিছু বলার থাকে তবে তিনি বলে যান। আমি শুনে যাব।

বিহারের স্কুল পড়ুয়াদের উপস্থিতি নিয়ে বার বারই নানা প্রশ্ন উঠেছে। কেন পর্যাপ্ত সংখ্য়ক পড়ুয়া উপস্থিত থাকে না তা নিয়ে বার বারই প্রশ্ন উঠেছে। ওই আধিকারিক নিজেও এনিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এমনকী পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে যে বোর্ডের পরীক্ষায় বসার জন্য ৭৫ শতাংশ হাজিরার প্রয়োজন। কিন্তু অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় সেটাও নেই পডুয়াদের। এরপরই নড়েচড়ে বসে বিহারের শিক্ষাদফতর।

গত সপ্তাহে রাইট টু এডুকেশন অ্যাক্টের কথা তুলে ধরে শিক্ষাদফতর। বলা হয় প্রাথমিক স্কুলে কমপক্ষে ২০০ দিন শিক্ষা দিবস থাকা দরকার। মিডল স্কুলে ২২০দিন শিক্ষাদিবস থাকা দরকার। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই ছুটি কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নির্দেশে বলা হয়েছিল, ভোট, আইন শৃঙ্খলা, বন্যা, উৎসব, বিভিন্ন পরীক্ষার সিট পড়া, সহ নানা কারণে স্কুলের পড়াশোনার দিন কাটছাঁট করা হয়েছে। আর স্কুল বন্ধ রাখার ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। কিছু স্কুল যখন বন্ধ তখন কিছু স্কুল চলছে। এমনটাই পরিস্থিতি।