১০০ কোটির ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি রেখে ব্যবসায়ীকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি হাইকোর্টের

এসআরইআই ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফিন্যান্স লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান অনন্ত রাজ কানোরিয়াকে চিকিৎসার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার অনুমতি দিল দিল্লি হাইকোর্ট। তবে তার শর্ত হিসেবে ব্যাঙ্কে ১০০ কোটি টাকা গ্যারান্টি রাখতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, অর্থ তছরুপের মামলায় অনন্ত রাজের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। হাইকোর্টের আরও নির্দেশ, ১০০ কোটি টাকা করে মোট ২০০ কোটি টাকার বন্ডে দুজন জামিনদার রাখতে হবে। ক্ষেত্রে জামিনদারদের অবশ্যই ভারতীয় হতে হবে। আদালতের আরও নির্দেশ, কানোরিয়া বিদেশে থাকার সময় যে ফোনটি ব্যবহার করবে তার নম্বর সরবরাহ করতে বলেছে এবং ফোনটি সর্বদা চালু থাকবে।

আরও পড়ুন: স্থগিত শুনানি, ব্রিটিশ হাইকোর্টের রায়ে দেউলিয়া মামলায় সাময়িক স্বস্তিতে মাল্য

প্রসঙ্গত মৃগী রোগে আক্রান্ত কানোরিয়া। তিনি চিকিৎসার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চাইছিলেন। তবে ইডি তাতে আপত্তি জানায়। তাই বিদেশে চিকিৎসা করতে চেয়ে তিনি দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট তাঁকে আগামী ৬ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রমনিয়াম প্রসাদ জানান, আবেদনকারীর নাম এফআইআর বা ইসিআইআর-এ নেই বা তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়নি। ফলে তাঁর বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও আপত্তি নেই। হাইকোর্ট এও উল্লেখ করেছে, আবেদনকারীকে গত ৮ অগস্ট তদন্তের জন্য ডেকেছিল ইডি। তাতে তিনি হাজিরা দিয়েছিলেন। আবেদনকারী ২০১০ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে মৃগী রোগের চিকিৎসা করে আসছেন। ফলে সে ক্ষেত্রে তিনি চিকিৎসার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন। প্রসঙ্গত, প্রতারণা, জালিয়াতি, নথি জাল করার অভিযোগে কানোরিয়ার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে এফআইআর হয়েছে। সেই ঘটনায় তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। 

প্রসঙ্গত, আবেদনকারী হলেন কানোরিয়া গ্রুপের ডিরেক্টর সুনীল কানোরিয়ার ছেলে।  আদিশ্রী কমার্শিয়াল প্রাইভেট লিমিটেড নামে আরেকটি কোম্পানির মাধ্যমে প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ। লগ্নিকারীদের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দেউলিয়া কার্যক্রম শুরু করেছে তদন্তকারী সংস্থা। ইডির দাবি, ৩২ হাজার কোটির বেশি টাকার প্রতারণা করা হয়েছে। ইডির আইনজীবী আদালতে কানোরিয়ার বিদেশে যাওয়ার বিরোধিতা করে বলেন তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন ভারতে খুব সহজেই সেই চিকিৎসা পাওয়া যায়। তাঁর অভিযোগ, আবেদনকারী তদন্তে ইডিকে সাহায্য করছেন না। আদালত জানিয়েছে, ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদনকারীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে আসতে হবে এবং ফিরে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে জানাতে হবে।