Asansol district hospital: পরীক্ষা না করিয়েই HIV পজিটিভ, দ্বিতীয়বার হল নেগেটিভ, কাঠগড়ায় সরকারি হাসপাতাল

কোনও পরীক্ষায় করা হয়নি, অথচ প্রসূতির ডিসচার্জ স্লিপের লেখা রয়েছে এইচআইভি পজিটিভ। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের একটি সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ওই প্রসূতি পরে আবার পরীক্ষা করিয়ে জানতে পারেন এইচআইভি নেগেটিভ। এরকমভাবেই মানসিক হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে আসানসোল জেলা হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ওই দম্পতি রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: বিয়ের পরই মাথায় ভেঙে পড়ল আকাশ! HIV পজিটিভ শিক্ষককে দীর্ঘ ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ

কী ঘটেছিল?

জানা গিয়েছে, আসানসোলের সালানপুর থানার বাসিন্দা ওই প্রসূতি গত ৯ জুলাই একটি বেসরকারি হাসপাতালে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। ১১ জুলাই মা ও শিশুকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, বাড়ি ফেরার পর গত ২৫ অগস্ট ঘটে বিপত্তি। প্রসবোত্তর রক্তক্ষরণের কারণে ওই মহিলাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালের মেটারনিটি ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু, সেখানে ভর্তি করানো হলেও দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁকে হাসপাতালের মধ্যেই বসিয়ে রাখা হয়। এদিকে, ওয়ার্ডের নার্সকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। ফলে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু না হওয়ায় বাধ্য হয়ে তিনি অন্য হাসপাতালে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু, তারজন্য ডিসচার্জ নিতে হবে বলে জানিয়ে দেন হাসপাতালের নার্স। তাই ডিসচার্জের জন্য আবেদন জানান তিনি। কিন্তু ডিসচার্জ স্লিপ দেওয়া হলেও ওই নার্স তার ওপর বাঁদিকে বড় করে লিখে দেন এইচআইভি পজিটিভ। তা দেখে চোখ কপালে উঠে যায় ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামীর। শেষে আবার অন্য হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ওই মহিলার চিকিৎসা করান তাঁর স্বামী। অন্যদিকে, তার ৪দিন পর ২৯ অগস্ট ওই হাসপাতালে গিয়ে এইচআইভি পরীক্ষা করান ওই দম্পতি। কিন্তু রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

কোনও পরীক্ষা ছাড়াই কীভাবে ডিসচার্জ স্লিপে লেখা হল এইচআইভি পজিটিভ? তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দম্পতি। এর বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে স্বাস্থ্য কমিশন, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং জেলা শাসকের কাছে চিঠি দেন। চিঠি পাওয়ার পরে পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার তদন্তের জন্য ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দ্রুত তদন্ত করতে বলা হয়েছে। রিপোর্টে দোষ প্রমাণিত হলে সে ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করা হবে বলেই জানিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মহম্মদ ইউনুস।এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দম্পতিকে আজ মঙ্গলবার বেলা ৩ টের সময় ডেকে পাঠিয়েছে জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।