দুই জোকারে মারামারি হচ্ছে, বোস-মমতাকে বিঁধে বললেন অধীর, সাফাই দিলেন ধূপগুড়ি নিয়ে

বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত চরমে রয়েছে। তারমধ্যেই আজ শুক্রবার রাজভবনের গেটের বাইরে ধরনায় বসেছেন প্রাক্তন উপাচার্যরা। তাঁদের দাবি, রাজ্যপালকে আইন মেনে চলতে হবে। এই পরিস্থিতির জন্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করে এক হাত নিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালকে ‘জোকার’ বলে কটাক্ষ করেন।

আরও পড়ুন: ‘ইন্ডিয়া’র স্বার্থে কি বাংলায় লড়বে না কংগ্রেস? জবাব দিলেন অধীর

শুক্রবার বহরমপুরে কংগ্রেসের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের একজন জোকারের নাম রাজ্যপাল এবং আর একজন জোকারের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ পশ্চিমবঙ্গে ‘সার্কাস চলছে’ বলে এদিন তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত উপাচার্যরা রাজ ভবনের সামনে ধরনায় বসেছেন। এর থেকে বড় সার্কাস আর বাংলায় হতে পারে না।’ এরপরেই রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীকে জোকার বলে কটাক্ষ করেন। এই কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘দুই জোকারের মধ্যে মারামারি হচ্ছে এবং মজা দেখছে রাজ্যবাসী।’ রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, ‘রাজ্যপাল বিজেপির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। আর অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা বাদ দিয়ে বিধায়কদের ভাতা বাড়াচ্ছেন।’ অধীরের বক্তব্য, সম্প্রতি বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের কেন মৃত্যু হচ্ছে? সেগুলি দেখছে না রাজ্য। কেন কর্মসংস্থান হচ্ছে না সে বিষয়টির উপরও গুরুত্ব দিচ্ছে না। তবে কেন্দ্রে ইন্ডিয়া জোট নিয়ে আশাবাদী অধীর চৌধুরী। ইন্ডিয়া জোটকে দেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভয় পাচ্ছেন বলে তিনি কটাক্ষ করেন।

পাশাপাশি অধীরবাবু  ধূপগুড়ি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে জানান, ধূপগুড়িতে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের সাংগঠনিক সংকট রয়েছে। তবে তাঁরা কখনই দাবি করেনি যে ধূপগুড়ি বিধানসভায় বাম–কংগ্রেস জয় লাভ করবে। আগে ওখানে বিজেপির বিধায়ক ছিলেন এবং ওই পরিবার থেকেই একজন প্রার্থী হয়েছেন। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জি ২০ সম্মেলনের নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছে মোদী। এপ্রসঙ্গে অধীরের খোঁচা, ‘আমি লোকসভার সব থেকে বড় বিরোধী দলের দলনেতা হওয়া সত্ত্বেও আমাকে আমন্ত্রণ জানায়নি। হয়ত দিদি ও মোদীর মধ্যে কোনও কথা থাকতে পারে তাই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।’ সব মিলিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে একযোগে শুক্রবারের সাংবাদিক বৈঠক থেকে আক্রমণ করেন অধীর।