নাকতলার পুজোও হাতছাড়া, কার কথা মনে পড়ছে পার্থর? বললেন, ‘হৃদয়ে নাম লিখলে…’

নাকতলার উদয়ন সঙ্ঘের পুজো মানেই একটা সময় যে নামটা সবার আগে আসত, সেটা হল পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। সেজেগুজে আসতেন তিনি। চারপাশে অনুগামীদের ভিড়। একেবার আলো করে বসতেন তিনি। তবে পুজো আসছে। অথচ সেই নাকতলার পুজোতে নেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মানে শুধু যে তিনি জেলে রয়েছেন বলে হাজির থাকতে পারবেন না এমনটা নয়। এবার নাকতলার সেই পুজোর রাশ চলে যাচ্ছে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হাতে। কার্যত এই পুজোতেও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

শুক্রবারও জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন এসএসসি কেলেঙ্কারিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু জামিন মেলেনি। পুজোর আগে তিনি জামিন পাবেন কি না তা নিয়ে সংশয়টা কাটেনি এখনও। তবে নাকতলার পুজো নিয়ে যেন বড্ড নস্টালজিক হয়ে পড়ছেন পার্থ। অরূপ বিশ্বাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খুব ভালো সিদ্ধান্ত। অরূপ অত্যন্ত সুদক্ষ পুজো সংগঠক।

মুখে তো বললেন অরূপের কথা। কিন্তু মন কি তাই বলছে? মন কি উথাল পাথাল করছে না? তিনি বাইরে থাকলে এই পুজোর রাশ তার হাত থেকে কেড়ে নেওয়ার শক্তি কি থাকত কারোর? এই পুজোতে পার্থর পুজো বলেই পরিচিত। সাংবাদিকের এই খোঁচায় পার্থ বলেন, তাহলে সেটাই থাকবে। অর্থাৎ ব্য়াখা করলে দাঁড়ায়, অরূপ বিশ্বাস এই পুজোর দায়িত্ব নিলেও এটা যে পার্থর পুজো এটা মনে করিয়ে দিতে চাইলেন তিনি। তবে তিনি এনিয়ে কোনও ব্যাখা দেননি।

ইদানিং কম কথা বলেন পার্থ। আদালতে যাতায়াতের পথে যেটুকু কথা বলা যায় সেটুকুই। কিন্তু তবুও মনে হয় পুজোর মুখে নাকতলার নাম শুনলে বুকের বাঁদিকটা মোচড় দিয়ে ওঠে। তার জেরেই তিনি কি বলে বসলেন? ‘পাথরে নাম লিখলে ক্ষয়ে যেতে পারে, হৃদয়ে নাম লিখলে রয়ে যায়। ’

বাংলার একটা জনপ্রিয় গানের কলিকেই যেন একটু বদলে দিয়ে এই লাইন দুটো বললেন পার্থ। পুজো যে এসে গেল, পুজোর লড়াইও এসে গেল। কিন্তু পার্থ এখনও জেলে। বান্ধবী অর্পিতাও জেলে। হয়তো মনে পড়ে যাচ্ছে পুরানো সেই দিনের কথা। কতটা ফুরফুরে ছিল হেভিওয়েট নেতার জীবন! আর এখন পুজোর রাশটাও চলে গেল দলেরই অপর নেতার হাতে। একে আটকানোর মতো পরিস্থিতিও নেই পার্থর হাতে। জামিনও মেলেনি। অগত্যা ফের জেলে ফিরলেন তিনি।