University News: ১৫জন রেজিস্ট্রারকে শোকজ করল শিক্ষা দফতর, রাজ্য না রাজ্যপাল কার কথা শুনবেন?

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত কার্যত চরমে উঠেছে। শুক্রবার রেজিস্ট্রারদের বিকাশভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু সেই বৈঠকে যোগদান নিয়ে কার্যত দোটানায় পড়েছিলেন রেজিস্ট্রারদের অনেকেই। কারণ রাজ্যপাল আগেই এই বৈঠকে যোগ দিতে বারণ করেছিলেন বলে সূত্রের খবর। কার্যত এই টানাপোড়েনের জেরে কয়েকজন রেজিস্ট্রার উপস্থিত ছিলেন না। এদিকে সব মিলিয়ে ১৫জন রেজিস্ট্রারকে শোকজের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দফতর।

কার্যত এই টানাপোড়েনের মাঝে পড়ে বৃহস্পতিবার ইস্তফা দিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নূপুর দাস ইস্তফা দিয়েছিলেন। এদিকে এই বৈঠকে মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ খরচা সংক্রান্ত ব্যাপারে হিসাব চাওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল। কিন্তু দেখা যায় সেই বৈঠকে রেজিস্ট্রারদের একাংশ উপস্থিত হননি। তাঁরা কেন আসেননি তা নিয়ে শিক্ষা দফতর খোঁজ নেওয়া শুরু করে।

আসলে দেখা যায় মারাত্মক টানাপোড়েনে মধ্যে পড়েছিলেন রেজিস্ট্রাররা। একদিকে রাজ্যপাল যিনি আবার আচার্য তিনি বারণ করেছিলেন ব্রাত্য বসুর মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য। এনিয়ে উপাচার্যদের তিনি বার্তা পাঠিয়েছিলেন। আবার শিক্ষামন্ত্রী বলছেন উপস্থিত হতে। কিন্তু কার কথা শুনবেন তাঁরা? অগত্যা এই টানাপোড়েনের মাঝে পড়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি একাধিক রেজিস্ট্রার।

কারণ শিক্ষামন্ত্রীর কথা না শুনলে কোপের মুখে পড়তে হতে পারে। আবার রাজ্যপালের কথা না শোনাটা নীতিবিরুদ্ধ। কোন দিতে যাবেন তাঁরা? শেষ পর্যন্ত কয়েকজন সেই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন না। তবে অবধারিতভাবে এবার তাঁদের শোকজ করা হয়েছে বলে খবর।

তবে শিক্ষা দফতর গোটা বিষয়টি একেবারেই হালকা করে দেখছে না। সম্ভবত সেই হাজির না থাকা রেজিস্ট্রারদের কাছে এবার যেতে পারে শোকজের চিঠি। এবার তাঁরা কোন কোর্টে বল ঠেলেন সেটাই দেখার। সেই সঙ্গেই রাজ্যপাল এনিয়ে কী পদক্ষেপ নেয় সেটাও দেখার। সব মিলিয়ে মহা ধর্ম সংকটে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। কার কথা তাঁরা শুনে চলবেন সেটা তাঁরা একেবারেই বুঝতে পারছেন না।