Corruption Cases: ২০১৪ সালের আগের মামলাতেও ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ সরকারি আধিকারিকদের রক্ষাকবচ নয়, সুপ্রিম নির্দেশ

উৎকর্ষ আনন্দ

দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি আধিকারিকদের কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না। সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ২০১৪ সালে মে মাস পর্যন্ত মামলায় কোনও ভাবে কোনও কর্মচারী কড়া পদক্ষেপ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য দাবি জানাতে পারবেন না।

দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্টের কথা উল্লেখ করেন তারা। এদিকে কেন্দ্রের তরফে প্রশ্ন করা হয়েছিল এই আইনের ৬ এ ধারা প্রসঙ্গে। সেখানে কোনও একটা তদন্তকারী সংস্থাকে কোনও সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গেলে সরকারের কাছে অনুমোদনের প্রয়োজন পড়ে।

যুগ্ম সচিব বা তার ওপরের পদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করতে গেলে সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন। তবে ৬ এ(২) নম্বর ধারায় একটা ব্যতিক্রমী ব্যাপার রয়েছে। যেখানে কেউ যদি ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়েন তবে তাকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে এই অনুমোদনের দরকার পড়ে না।

আর সেপ্টেম্বর ২০০৩ সালে এই আইনের মধ্যে সেকশন ৬ এ যুক্ত হয়েছিল। সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশন অ্যাক্টের সেকশন ২৬এর মাধ্যমে ওই সেকশন যুক্ত হয়েছিল। তৎকালীন আইনমন্ত্রী অরুন জেটলি সংসদে সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশন বিল নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, যারা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গায় কর্মরত রয়েছেন যাদের বড় সিদ্ধান্ত নিতে হয় তাঁদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করলে তাঁদের রক্ষাকবচও দেওয়া দরকার।

তবে ২০১৪ সালে পাঁচজন বিচারকের বেঞ্চ এই ৬এ ধারাকে খারিজ করে দেন। কারণ পদমর্যাদার জন্য় কেউ দুর্নীতির অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে পারেন না। এটাকে বৈষম্যমূলক বলে উল্লেখ করেছিল বিচারপতিদের বেঞ্চ। এমনকী এই ৬এ ধারার মাধ্যমে দুর্নীতিগ্রস্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছিল আদালত।

এই মামলায় ডাঃ আর আর কিশোরকে ঘুষ নেওয়ার সময় গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তিনি তখন দিল্লির মুখ্য় স্বাস্থ্য আধিকারিক ছিলেন। এরপর তিনি এই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে যান। ২০০৬ সালে হাইকোর্ট জানায় কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন ছাড়াই সিবিআই এই কাজ করেছে। ২০০৭ সালে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যায় সিবিআই। এরপর এনিয়ে দফায় দফায় আইনি লড়াই চলছিল।

তবে অবশেষে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়েছে, ২০১৪ সালের আগের মামলায় সরকারি কর্মচারীরা ৬এ ধারায় কোনও রক্ষাকবচ পাবেন না।