Libary facility in West Bengal- রাজ্যে চালু হচ্ছে গ্লোবাল সদস্যপদ, পড়তে পারবেন সব সরকারি লাইব্রেরির বই

মোবাইল কিংবা ল্যাপটপে ইন্টারনেট মাধ্যমে বিভিন্ন আর্টিকেল কিংবা পিডিএফ ফাইল পড়া আজকের সময়ের এক সাধারণ চিত্র। কিন্তু তারপরেও বই পড়বার জন্য লাইব্রেরির বিকল্প কিছু হয় না। শিশু-কিশোর কিংবা প্রৌঢ়, যে কোনও বয়সের মানুষের জন্যই সাহিত্য থেকে বিজ্ঞান চর্চার অন্যতম পছন্দের জায়গা লাইব্রেরি। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে গ্রন্থাগারমুখী হতে আগ্রহ হারাচ্ছে মানুষ। আর সেজন্যই এবার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শুরু হল সরকারি গ্রন্থাগারগুলিকে জনপ্রিয় করার উদ্যোগ।

রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সরকারি গ্রন্থাগারের পাঠকদের এবার দেওয়া হচ্ছে গ্লোবাল সদস্য পদ অর্থাৎ যার মাধ্যমে সারা রাজ্যের যে কোনও পাঠাগারে বই পড়ার সুযোগ পাবেন তারা। আসুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত তথ্য। গ্রন্থাগার ও জনশিক্ষা প্রসার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী জানিয়েছেন, চার ধরনের সদস্যপদ চালু হচ্ছে পাঠাগারের ক্ষেত্রে। শিশু থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত একটি সদস্যপদ। প্রাপ্তবয়স্ক থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত আরেকটি সদস্যপদ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও ষাট ঊর্ধ্ব প্রবীণ নাগরিকদের জন্য রয়েছে এক বিশেষ ধরনের সদস্যপদ। আর চতুর্থ ধরনের সদস্য পদটি সবথেকে নজরকারা, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘গ্লোবাল সদস্যপদ’। এর মাধ্যমে রাজ্যের যে কোনও গ্রন্থাগারই সদস্য হিসেবে প্রবেশ করে বই পড়বার সুযোগ পাবেন পাঠকরা।

কিন্তু কারা পাবেন এই বিশেষ সুবিধা? সকলের জন্য কিন্তু এই গ্লোবাল সদস্য পদ উপলব্ধ নয় এখনই। সাংসদ, বিধায়ক থেকে অধ্যাপক, উপাচার্য, লেখক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদেরা এই গ্লোবাল সদস্যপদ পাবেন। প্রত্যেককে দেওয়া হবে সচিত্র পরিচয় পত্র। প্রসঙ্গত সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী আরও জানান, রাজ্যজুড়ে ইতিমধ্যেই বহু দুর্মূল্য বইয়ের ডিজিটাল সংস্করণের কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে দুষ্প্রাপ্য ৩৫ হাজার বইয়ের ডিজিটাইজেশনের কাজ ইতিমধ্যে শেষ। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন বেসরকারি গ্রন্থাগারকে ১ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা অনুদান হিসেবে দেওয়া হয়েছে।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রন্থাগারকে বই কেনার জন্য তিন কোটি ৪২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলির ক্ষেত্রে কিন্তু সীমিত কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। সম্প্রতি ৭৩৮ টি গ্রন্থাগারিকের শূন্য পদে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এই পরীক্ষার জন্য মোট আবেদন করেছিলেন 9239 জন। এখন দেখার ইন্টারনেট আর্টিকেল, পিডিএফ ফেলে পাঠক-পাঠিকারা কতটা গ্রন্থাগারমুখী হন।