শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কারে এবার জয়জয়কার বাঙালির। ভারতের নানা প্রান্তে কর্মরত চার বাঙালি এই বছর এই পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই অনেক দিন পর ভাটনগর পুরস্কার পেল বাংলার চিকিৎসাক্ষেত্র। দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়, দেবব্রত মাইতির পাশাপাশি বাংলায় ভাটনগর পুরস্কার পেলেন অনিন্দ্য দাস ও বাসুদেব দাশগুপ্ত।
(আরও পড়ুন: বেলুড়ের দুর্গাপুজো কবে কখন শুরু? প্রকাশিত হল পুজোর নির্ঘণ্ট)
ডক্টর অনিন্দ্য দাস পদার্থবিদ্যায় দীর্ঘ গবেষণার কারণে এই পুরস্কার পেলেন। ২০২৩ সালে দেওয়া হলেও আদতে এই পুরস্কার ২০২২ সালের। প্রতি বছর ২৬ সেপ্টেম্বর এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এই বছর কিছুটা আগেই দেওয়া হল তরুণ বিজ্ঞানীদের জন্য বিশেষ পুরস্কার। বাঙালি বিজ্ঞানী অনিন্দ্য দাসের পড়াশোনা বেলুড়ের রামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দিরে। বর্তমানে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের পদার্থবিদ্যা বিভাগে শিক্ষকতা করেন অনিন্দ্য। পাশাপাশি আইআইএসসি-এর কোয়ান্টাম ট্রান্সপোর্ট ল্যাবরেটরির প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর তিনি।
(আরও পড়ুন: ইলিশ থেকে কাচ্চি বিরিয়ানি! ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে আর কী কী খাওয়ালেন হাসিনা)
কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় বিএসসি পাশ করেন এই শতকের গোড়াতেই। এর পর উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি দেন বেঙ্গালুরু। সেখানে প্রথমে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন নিজের বিষয়ে। এর পর রিসার্চ স্কলার হিসেবে কাজ শুরু হয় তাঁর। ২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ পর্যন্ত গবেষণার পর পোস্ট ডক্টরেটও সেখান থেকেই। তাঁর গবেষণার বিষয়ের মধ্যে একদিকে যেমন রয়েছে সেমিকনডাক্টর ন্যানোটিউব, অন্যদিকে রয়েছে জিরোডাইমেনশনাল কোয়ান্টাম ডটস। এছাড়াও, দ্বিমাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক টোপোলজিকাল ইনসুলেটর নিয়েও কাজ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্য়েই দুটি বিশেষ ধরনের ন্যানোটিউবের পেটেন্ট রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ২০১৪ সালে তাঁকে বিআরএনএস তরুণ বিজ্ঞানী পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত উইজম্যান ইন্স্টিটিউটের ফেলোশিপ পান তিনি। সেরা পিএইচডি থিসিসের জন্য তাঁকে ডক্টর অনিল কুমার অ্যাওয়ার্ডও দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, এই বছর শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে সারা দেশের ১২ জন তরুণ বিজ্ঞানীকে। প্রতি বছর এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় ৪৫ বছর বয়সের কম এমন বিজ্ঞানীদের হাতে। কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের তরফে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এই বছর বাংলা থেকে পুরস্কার পেয়েছেন বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী। পুরস্কার হিসেবে সম্মাননাপত্রের সঙ্গে থাকে পাঁচ লাখ অর্থমূল্যের একটি পুরস্কারও। একই সঙ্গে দেওয়া হয় গবেষণাপত্রে বিশেষ উদ্ধৃতি বা সাইটেশনের স্বীকৃতি।