Sensational claim about Putin: ‘আর বেঁচে নেই পুতিন’,ফের চাঞ্চল্যকর দাবি ইউক্রেনের গোয়েন্দা প্রধানের

জি-২০ সামিটের আবহে আরও একবার গুজব রটল রুশ রাষ্ট্রপ্রধান ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যু সম্পর্কে। ইউক্রেনের গোয়েন্দা প্রধান সম্প্রতি দাবি করেছেন, পুতিনের মৃত্যু হয়েছে অনেকদিন আগেই। ভ্লাদিমির পুতিনের একটি ডামি তৈরি করে বিশ্বের সামনে দেখানো হচ্ছে রাশিয়ার পক্ষ থেকে। একটি রেডিয়ো চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই দাবি করেছেন ইউক্রেনের গোয়েন্দা প্রধান বদানভ। তিনি সেখানে বলেন, ‘২০২২ সালের ২৬ জুন শেষবার দেখা গিয়েছিল পুতিনকে।’ তবে আর কী প্রমাণ রয়েছে ইউক্রেন গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান কিরলো বুদানভের কাছে, তা বিস্তারিত জানা যায়নি। স্পষ্ট করে এর থেকে বেশি কিছু বলতেও চাননি তিনি।

তাহলে কেন এমন দাবি করছেন ইউক্রেন গোয়েন্দা প্রধান! দীর্ঘদিন ধরেই জনসমক্ষে আসছেন না ভ্লাদিমির পুতিন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক বৈঠক তিনি সারছেন ভিডিয়ো কনফারেন্স-এর মাধ্যমে। এ কারণেই ইউক্রেনীয়দের ধারণা কিছুটা হলেও যেন বিশ্বাস করছে সাধারণ মানুষ। বদানভ বলেন, ‘২০২২ সালের ২৬ জুন শেষবার দেখা গিয়েছিল পুতিনকে। হয় তিনি বেঁচে নেই অথবা, তার স্বাস্থ্যের অবস্থা একেবারেই ভালো নয়।’ সপ্তাহ দুয়েক আগেই ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সংশয় প্রকাশ করেছিলেন ভ্লাদিমির পুতিনের জীবদ্দশা সম্পর্কে। এবার তার গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান বললেন, ‘আমি নিশ্চিত পুতিন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বেশিদিন বাঁচবেন না অথবা শীঘ্রই তিনি মারা যাবেন।’

ইউক্রেনীয়দের এই সকল দাবির পরেও কোন তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি তারা। ফলে ইউক্রেন গোয়েন্দা প্রধানের দাবি কতটা যৌক্তিক বাস্তবসম্মত তা নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে। পুতিনের মৃত্যু নিয়ে বদানভ যে সমস্ত কথা বলছেন, তা একেবারেই অবান্তর এবং বিপথে চালিত করবার জন্য। এমন অভিযোগই করা হয়েছে রাশিয়ার পক্ষ থেকে। তবে অন্য দিক থেকে পুতিনের স্বাস্থ্য নিয়ে সংশয়ের অবকাশ একেবারেই নেই এমনটা নয়। সাম্প্রতিক জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পারেনি পুতিন। এর আগে জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনে সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও ভার্চুয়ালি যোগদান করেছিলেন ভ্লাদিমির। কিন্তু জি-টোয়েন্টি সামিটের ক্ষেত্রে ভার্চুয়ালিও না থাকার কারণে পক্ষান্তরে ইউক্রেনের দাবি মান্যতা পায় কিছুটা হলেও। এখন দেখার কবে সশরীরে স্বমহিমায় ফিরে আসেন ভ্লাদিমির পুতিন, নাকি শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাকি জীবন অন্তরালেই কাটিয়ে দিতে হয় রুশ রাষ্ট্রনায়ককে। এর উত্তর দেবে সময়।