খাস কলকাতায় গাছ কাটা হচ্ছে, অভিযোগ পেয়েই বালিগঞ্জে ছুটলেন রাজ্যপাল

দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি বৈঠকে গাছ কাটা নিয়ে সতর্ক করেছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ঠিক তার পরদিন মঙ্গলবার গাছ কাটার অভিযোগ খুঁটিয়ে দেখতে এবার ঘটনাস্থলে নিজেই পৌঁছে গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত গুরুসদয় রোডের একটি অবসানের সামনে গাছ কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ পান রাজ্যপাল। আর তখনই রাস্তায় নেমে পড়েন তিনি। এই কথা শুনে চলে গেলেন বালিগঞ্জের রোনাল্ড রোডে। গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগ পেয়ে বালিগঞ্জে পৌঁছন তিনি। রাজভবনে অভিযোগ এসেছিল, ওই এলাকায় গাছ কাটা হচ্ছে। তা খতিয়ে দেখতেই যান রাজ্যপাল।

এদিকে অকুস্থলে পৌঁছে সেখানের স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এমনকী ওই অবসানের লোকজনের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। রাজ্যপাল জানান, যে অসাধু ব্যক্তিরা গাছ কেটেছে সেটা খতিয়ে দেখা হবে। তবে একটা গাছ কাটলে ও আমরা সেখানে ১০০টি গাছ লাগিয়ে দেব। মন্ত্রী ও মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই বিষয়ে তদন্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন। রোনাল্ড রোড এলাকার মানুষ অভিযোগ জানান, একটি বিশাল প্রাচীন গাছ বেআইনিভাবে কেটে ফেলা হচ্ছে। এই অভিযোগ রাজ্যপাল পেয়েই খতিয়ে দেখতে বালিগঞ্জে যান। কাটা গাছের স্মরণে তিনি রাজভবনে পিপুল গাছের চারা পুঁতবেন বলেও জানিয়েছেন।

অন্যদিকে আজকে রাজ্যপালের সুর ছিল একটু নরম। তিনি বলেন, ‘‌সাফল্য আসবে যখন আমরা একসঙ্গে কাজ করব। আমরা একসঙ্গে কাজ করলে উন্নতি হবে। সাধারণ মানুষের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করলে সাফল্য অর্জন করা যায়।’‌ এদিন তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলেন। তাদের অভাব–অভিযোগ শোনেন। বন দফতরের লোকজন এসে গাছ কাটা বন্ধ করে বলে জানান একজন স্থানীয় বাসিন্দা। সে কথা সুনে এদিন রাজ্যপাল সেখানকার বাসিন্দাদের আশ্বাস দেন, আরও গাছ লাগানো হবে। পাশাপশি তিনি তাদের সমস্যার কথাও শোনেন।

আরও পড়ুন:‌ মানিক ভট্টাচার্যের নামে স্কুল আছে, কলকাতা হাইকোর্টে বিস্ফোরক দাবি করল ইডি

এছাড়া কোথাও কোনও ঘটনা ঘটলে পৌঁছে যান রাজ্যপাল। এমন ঘটনা আরও রয়েছে। কিছুদিন আগে রামনবমীর অশান্তির পর হুগলির রিষড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। আবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তির খবর শুনে ভাঙড় এবং ক্যানিংয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিষ্ফোরণের পরেও তাঁকে সেখানে দেখা গিয়েছিল। এমনকী রাজভবনের কাছে আগুন লাগার ঘটনারয় সেখানে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। এবার গাছ কাটার খবর পেয়ে পৌঁছে গেলেন বালিগঞ্জে।