Fire operator appointment cancel: দমকলের নিয়োগেও বেনিয়ম! ২৫ জন অযোগ্য প্রার্থীর চাকরি বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট

শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়ে গিয়েছে বহু শিক্ষকের চাকরি। আর এবার দমকলে নিয়োগেও অনিয়ম ধরা পড়ল। তার ভিত্তিতে ২৫ জন অযোগ্য প্রার্থীর চাকরি বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ ওই প্রার্থীদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। বীরভূম জেলায় অক্সিলিয়ারি ফায়ার অপারেটর পদে তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে বেনিয়ম খুঁজে পাওয়ায় ডিভিশন বেঞ্চ ওই অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বাতিল করে দেয়।

আরও পড়ুন: আরও সময় চাইতেই ১০,০০০ টাকা জরিমানা! দমকলে নিয়োগ ‘দুর্নীতিতে’ ভর্ৎসনার মুখে PSC

মামলার অনুযায়ী, ২০১৭ সালে অক্সিলিয়ারি ফায়ার অপারেটর পদে ১৫০০ জনকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেইমতো রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই পদে নিয়োগ করা হয়। বীরভূম জেলাতেও নিয়োগ হয়। সেই নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কিছু প্রার্থী। এদিন এই সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ‘দমকলের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে স্থায়ী পদে নিয়োগ করা হচ্ছে। সেখানে এমন অস্থায়ী নিয়োগ যথাযথ নয়। এটি স্বাভাবিক ন্যায় বিচারের পরিপন্থী।’ আদালত জানায়, শুধুমাত্র বীরভূম জেলার ক্ষেত্রেই ২৫ জন অযোগ্য প্রার্থীর চাকরি বাতিল করা হল। তবে অন্যান্য জেলায় যদি এমন পদে নিয়োগ হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদিও আইনজীবীদের মতে, এর ফলে এই পদে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠল। স্বাভাবিকভাবে বাকি প্রার্থীদের নিয়োগও প্রশ্নের মুখে।

অন্যদিকে, এই ঘটনার পরেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিরোধীরা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘তৃণমূল সরকারের আমলে প্রতিটি নিয়োগের সঙ্গে দুর্নীতি জড়িয়ে রয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষকে তীব্র হয়রানি হতে হচ্ছে।’ তাছাড়া নিয়োগও পিছিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ তোলেন। অন্যদিকে, বিজেপিও এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, শুধুমাত্র নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করাটাই যথেষ্ট নয়, এ ক্ষেত্রে বেনিয়মের জন্য যারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে এর আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী থেকে শুরু করে শাসক দলের হেভিওয়েট নেতারা।