Food Prices: পুজোর আগে কি চাল, গম, চিনির দাম বাড়বে? মজুত কেমন? সবটা জানালেন খাদ্য সচিব

জিয়া হক

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রুখতে একেবারে কোমর বেঁধে ময়দানে নামছে কেন্দ্রীয় সরকার।  খাদ্যশস্য়ের মূল্যবৃদ্ধি রুখতে বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে গমের বেআইনি স্টক করতে না পারে তার উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে চালের স্টক কতটা রয়েছে তার উপরেও কড়া নজরদারি করা হচ্ছে। কারণ সামনেই উৎসবের মরশুম। 

কেন্দ্রীয় খাদ্য় সচিব সঞ্জীব চোপড়া জানিয়েছেন, চাল, গম, চিনির মতো সামগ্রী যথেষ্ট পরিমাণে মজুত করা রয়েছে। এমনকী গম বাড়তি রয়েছে। তবে ভালো বৃষ্টি হয়নি এই অজুহাতে কৃত্রিম অভাব দেখানোর একটা চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকার নজর রাখছে।

খাদ্য সচিব জানিয়েছেন, সরকার প্রচুর চালের ফলনের আশা করছে। বৃষ্টি কিছুটা কম হলেও ফলন ভালোই হবে। 

খাদ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কমপক্ষে দেশে ২০.২ মিলিয়ন টন গমের মজুত থাকা দরকার। সেই জায়গায় ২৫.৫ মিলিয়ন টন গম রয়েছে। গমের ক্ষেত্রে ৮.৭ মিলিয়ন টন প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত রয়েছে। 

চিনির ক্ষেত্রে ৮.৫ মিলিয়ন টন রয়েছে। আগামী সাড়ে তিন মাসের জন্য় এটা যথেষ্ট। 

অন্যদিকে এক আধিকারিকের মতে, বৃষ্টি কম হওয়া নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ ছিল অগস্ট মাসে। তবে সেপ্টেম্বর মাসে ভালো বৃষ্টি হচ্ছে। কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্রেও ভালো বৃষ্টি হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি না যে উৎপাদনে বড় প্রভাব পড়বে। 

তবে বৃহস্পতিবার সরকারি জানিয়ে দিয়েছে, ব্যবসায়ীরা সব মিলিয়ে ২০০০ টন গম মজুত করতে পারবেন। এটাই হল গমের স্টক লিমিট। খাদ্য সচিব সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ব্যবসায়ী ও হোলসেলার্সরা বেশি বেশি করে স্টক করবেন এটা আমরা চাই না। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি স্টক করে কৃত্রিম অভাব তৈরি করে দেবেন এটা আমরা একেবারেই চাই না। 

এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চালের প্রতি আমরা নজর রাখছি। রাজ্যগুলিতে কতটা স্টক করা হচ্ছে সব নজর রাখা হচ্ছে। দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য় সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।