চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মিজানুর রহমান (৫০) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মিজানুর রহমান ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের নবীছদ্দিনের ছেলে। তিনি জীবননগরের সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের আয়ুব আলীর জামাতা। বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। তার মরদেহ ভারতের কৃষ্ণনগর মহকুমা হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। 

মিজানুর রহমানকে গুলি করে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জীবননগরের সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন। তিনি বলেন, ‘মিজানুর রহমান কিছুদিন আগে ভারতীয় গরুর ব্যবসা করতেন। সম্প্রতি অবৈধভাবে মানুষ পারাপারের কাজ করে আসছিলেন। গত বৃহস্পতিবার মিজানুর ও তার সহযোগীরা কয়েকজন মানুষ নিয়ে অবৈধভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে যান। ফেরার সময় বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মিজানুর। এ সময় পালিয়ে যান তার সহযোগীরা। তার লাশ বাংলাদেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।’

জীবননগর থানার ওসি এস এম জাবীদ হাসান বলেন, ‘মিজানুর রহমানের স্ত্রী থানায় এসে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন তার স্বামীকে পাওয়া যাচ্ছে না। তিন দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন তার স্বামী। এরই মধ্যে তার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।’

মহেশপুর-৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মাসুদ পারভেজ রানা বলেন, ‘শনিবার বেলা ১১টার দিকে এক নারী মৌখিকভাবে তার স্বামী নিখোঁজের বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন। কোনও বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে কিনা, তা জানতে আমরা বিএসএফের কাছে চিঠি দিয়েছি। বিএসএফের কাছ থেকে জানার পর বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারবো।’