Illegal construction: কালিম্পং পুরসভায় অবৈধ নির্মাণ ভাঙা নিয়ে প্রাক্তন কাউন্সিলরকে ভর্ৎসনা আদালতের

কালিম্পং পুরসভায় একটি অবৈধ নির্মাণ নিয়ে প্রাক্তন কাউন্সিলরের ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার আদালতে সশরীরে হাজির হয়েছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর। মামলার শুনানিতে আদালতের একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়েন অভিযুক্ত কাউন্সিলর বিমলা ছেত্রী। এই মামলায় এর আগে একদিনের মধ্যে অবৈধ নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু, তারপরেও পুরো নির্মাণ না ভাঙায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। পুরসভার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরকে এ বিষয়ে হলফনামা জমা দিতে বলে হাইকোর্ট। নির্মাণ কতটা ভাঙা হয়েছে সেবিষয়ে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: এবার কালিম্পং! অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে ফের বুলডোজারের পরামর্শ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

শুক্রবার কাউন্সিলর সশরীরে হাজির হলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্নের মুখে পড়েন। কাউন্সিলরের উদ্দেশ্যে বিচারপতির প্রশ্ন, ‘কাউন্সিলরের কী দায়িত্ব সেটা কি জানেন? যে নির্মাণ হয়েছিল সেটি কি বেআইনি ছিল? আপনি কি সেটা জানতেন?’ তখন কাউন্সিলর জানতেন না উত্তর দিতেই ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘ তিন বছর ধরে বেআইনি কাজ চলছে অথচ আপনি জানেন না! এভাবে আদালতকে বিভ্রান্ত করবেন না।’ বিচারপতির মতে, মদত ছাড়া এই বেআইনি নির্মাণ সম্ভব নয়।  উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন বিমলা ছেত্রী। সেই সময়ের মধ্যে এই বেআইনি নির্মাণ হয়েছিল বলে অভিযোগ।

প্রসঙ্গত, এর আগে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জলপাইগুড়ি ডিভিশন বেঞ্চ কালিম্পং পুরসভার ১১ মাইল, ঋষি রোডের সিএসটি স্কুলের নীচের অবৈধ নির্মাণ নির্দেশ দিয়েছিল। প্রয়োজনে বুলডোজার ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সে ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ না মানার অভিযোগ ওঠে। মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, অবৈধ নির্মাণ নিয়ে পুরসভাকে জানিয়েও কোনই কাজ না হওয়ায় তিনি শেষে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এর আগে অবৈধ নির্মাণ করা নিয়েও কড়া মনোভাব দেখিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভাকেও একটি অবৈধ নির্মাণ সংক্রান্ত মামলায় বুলডোজ়ার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২০২১ সালে কলকাতা পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে মানিকতলা মেন রোডে একটি বেআইনি নির্মাণ নিয়ে মামলা হয়। সেই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে প্রয়োজনে যোগী আদিত্যনাথের কাছ থেকে বুলডোজ়ার ভাড়া করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।