VC on RSS: ‘আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে গর্বিত’, হিন্দুত্বের ধ্বজা ওড়ালেন JNU উপাচার্য

নাদিম ইনামদার

জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তিশ্রী পণ্ডিত। রবিবার তিনি জানিয়েছেন, হিন্দু হিসাবে নিজে গর্ববোধ করি। আরএসএসের সঙ্গে রয়েছি এতেও গর্ববোধ হয়। কারণ অতি বামেদের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে এটা দরকার।

একটি বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি ছিলেন। সেই মঞ্চে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও ছিলেন। এই বইয়ের মুখবন্ধ লিখেছেন ভিসি নিজেই। অভিজিৎ যোগ বইয়ের লেখক। বইয়ের নাম, জাগালা পোখরনারি দাবি ওয়ালাই।

সেই বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছেন, আমি হিন্দু হিসাবে গর্ব বোধ করছি। সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে থাকতে পেরেও গর্ব বোধ করছি। বামেদের মতবাদকে হঠাতে এটা দরকার।

সাবিত্রীবাই ফুলে পুনে বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে কীভাবে ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল সেকথা জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, নানা সমস্যার মধ্যেও আমি মুখোমুখি হয়েছিলাম। আমি বলতে পারি জেএনইউর থেকেও বেশি বাম মনোভাবাপন্ন ছেলে মেয়েরা রয়েছে পুনে বিশ্ববিদ্যালয়ে। পুনেতে এটা বাইরে থেকে বোঝা যায় না।

এর আগে তিনি পুনেতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা ছিলেন। পরে তিনি প্রথম জেএনইউর মহিলা ভিসি হন।

তিনি ছোটবেলার কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, আমি আরএসএসের কাছ থেকে মূল্যবোধ শিখেছিলাম। আমি সঙ্ঘের মানুষ বলতে গর্ববোধ করি। আমি হিন্দু বলতেও গর্ব বোধ করি। আমি এনিয়ে কোনও দ্বিধা করি না।

বামেদের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে এটা দরকার বলেও তিনি উল্লেখ করেন। পাশাপাশি তিনি সুপ্রিম কোর্ট প্রসঙ্গে বলেন, তিস্তা শীতলাবাদকে জামিন দেওয়ার জন্য শনিবারও আদালত খোলা হল।

আর মোহন ভাগবতের মতে, বামেরা খালি নানারকম দ্বিধা দ্বন্দ্ব ছড়িয়েছে, অশান্তি ছড়িয়েছে দেশের মধ্য়ে। তাঁর মতে বামেদের মতবাদ কিছুই নয়, ওটা একটা ধাঁধার মতো। 

মোহন ভাগবত বলেন, শত্রুরা ফাঁদ পেতেছে। আমাদের তার মধ্যে দিয়েই যেতে হবে। কারণ অন্য কোনও পথ নেই। এই যে বাম ও ডানপন্থী ধারনা সেটা এখানকার নয়। এটা বিদেশ থেকে আনা হয়েছিল। তাঁর মতে, বামেরা নিজেদের ভগবান ভাবে। তারা অন্যকে দাবিয়ে রাখতে চায়। তারা অবৈজ্ঞানিক। অর্ধসত্যের ভিত্তিতে তারা ফাঁদ তৈরি করেছে। 

লেখক অভিজিৎ যোগ, বাম আদর্শ সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করে দেন। ফ্যাসিবাদ ও নাৎসিবাদের সঙ্গে বামেদের যোগ আছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।