পরবর্তী রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের দায়িত্বে কে?‌ নবান্ন আনছে জাঁদরেল আমলাকে

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় রা‌জ্য মানবাধিকার কমিশনের পরবর্তী প্রশাসনিক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর। এখন কমিশনের প্রশাসনিক সদস্য নাপরাজিত মুখোপাধ্যায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অবসর নিতে চলেছেন। সুতরাং এই মাসটাই শেষ তাঁর উপস্থিতি। আর তাঁর ছেড়ে যাওয়া আসনে আসতে চলেছেন বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলে খবর। গত পাঁচ বছর ধরে দু’দফায় দশ বছর রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন নাপরাজিত মুখোপাধ্যায়। সুতরাং প্রায় এক দশক পর রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের প্রশাসনিক সদস্য পদে বদল আসতে চলেছে। যদিও আইন সংশোধন হওয়ার পর এখন তিন বছর করে দু’দফায় সর্বোচ্চ মোট ছ’বছর এই পদে থাকা যাবে।

এদিকে নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের পরবর্তী প্রশাসনিক সদস্য হিসেবে রাজ্য সরকারের প্রথম পছন্দ বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশ সফর থেকে ফিরলেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। মুখ্যসচিব পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনারের দায়িত্ব সামলেছেন বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বেশ জাঁদরেল আমলা হিসেবেই পরিচিত। স্বরাষ্ট্রসচিব হিসেবেও তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের দায়িত্ব নিলে বেশ কড়া সিদ্ধান্ত নেবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে রাজ্য মানবাদিকার কমিশনের একটি গঠনতন্ত্র আছে। সেই নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য মানবাধিকার কমিশন তিন সদস্য নিয়ে গঠিত। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য, জুডিশিয়াল সদস্য হিসেবে আছেন কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মধুমিতা মিত্র এবং প্রশাসনিক সদস্য হিসেবে রয়েছেন নাপরাজিত মুখোপাধ্যায়। রাজ্য পুলিশের ডিজি ছিলেন নাপরাজিত মুখোপাধ্যায়। এবার তিনি এখান থেকে অবসব নেবেন। সেখানেই আসতে পারেন বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন:‌ শহরজুড়ে দেদার আলোর রোশনাই নয়, খরচ কমানোর সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ বাংলায় কিছু ঘটলেই দেখা যায় কেন্দ্রীয় টিম চলে আসে। আবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম আসে। আর এবার সেটা কড়া হাতে ঠেকানো যাবে। কারণ বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় একজন অভিজ্ঞ জাঁদরেল আমলা। তিনি প্রতিটি বিষয় খুঁটিয়ে দেখবেন এবং প্রকাশ্যে আনবেন। ফলে কেন্দ্রের যে বাংলার সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারের ছক তা বানচাল হয়ে যাবে। তাই তাঁকে বেছে নেওয়া হচ্ছে বলে সূ্ত্রের খবর। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন ডিজি নাপরাজিতবাবু বড় সাফল্য পেয়েছিলেন। বুড়িশোলের জঙ্গলে স্পেশাল অ্যাকশনের প্ল্যান তৈরি করে শীর্ষ মাওবাদী নেতা কিষেনজিকে খতম করা হয়েছিল।