Jadavpur Ragging: জলে যেতে পারে যাদবপুরের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট! এক্তিয়ার নিয়েই উঠছে প্রশ্ন

যাদবপুরের ঘটনা কার্যত সাড়া ফেলে দিয়েছিল বাংলায়। এনিয়ে গ্রেফতারও করা হয়েছে একাধিকজনকে। তার মধ্যে একাধিক প্রাক্তন ছাত্রও রয়েছে। সেই সঙ্গেই যাদবপুরের র‍্যাগিংয়ের ঘটনার তদন্তে অভ্যন্তরীন কমিটি তৈরি হয়েছিল। তারা গোটা ঘটনার মূলে পৌঁছনর চেষ্টা করে। এমনকী নানা জনকে প্রশ্ন করে, ছাত্র শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার পেছনে ঠিক কী কারণ রয়েছে সেটা জানার চেষ্টা করে। সেই সংক্রান্ত রিপোর্টও তারা জমা দেয়। তবে এবার সেই কমিটির এক্তিয়ার নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল।

কারণ হিসাবে যেটা উঠে আসছে এই ধরনের তদন্ত কেবলমাত্র অ্যান্টি র‍্যাগিং স্কোয়াড করতে পারে। সেক্ষেত্রে নতুন যে কমিটি করা হয়েছিল সেখানে আবার স্কোয়াডের সকলে ছিলেন না। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ নিজেই ছিলেন ওই স্কোয়াডে। কিন্তু ওই কমিটিতে তাঁর নাম ছিল না। সেক্ষেত্রে এই কমিটির আদৌ তদন্ত করতে পারে কি না তানিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সেক্ষেত্রে সূত্রের খবর, আপাতত ঠিক হয়েছে তদন্ত কমিটি যে রিপোর্ট তৈরি করেছে তা অ্যান্টি র‍্যাগিং স্কোয়াডের কাছে পাঠানো হবে। তারা এনিয়ে খতিয়ে দেখবে। তবে আপাতত কর্মসমিতির মিটিংয়ে এই রিপোর্ট পেশ করা হবে না বলে প্রাথমিকভাবে খবর। সেক্ষেত্রে অনেকের মতে, এই যে খেটেখুটে যে রিপোর্ট তৈরি হল তা কার্যত এবার জলে যেতে বসেছে। এখন প্রশ্ন এই কমিটির যে এক্তিয়ার নেই সেটা আগে কেন ভাবা হয়নি। এটা আগে ভাবলে তো এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। কিন্তু তদন্ত কমিটি এই ঘটনার পেছনে র‍্যাগিংকেই কাঠগড়ায় তুলেছিল।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন তদন্ত কমিটির রিপোর্টে সামনে এসেছিল বিস্ফোরক সব তথ্য়। যেখানে দাবি করা হচ্ছে, ডিন অফ স্টুডেন্টস ও হস্টেলের দুই সুপার জানিয়েছিলেন তাঁরা র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু উলটে তাদেরকে নানারকম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। তাঁদেরকেই হেনস্থা করা হয়েছে।

করোনার সময় সেফ হোম খোলার নামে যাদবপুরের অন্দরে কার্যত বহিরাগত সিনিয়রদের ঘাঁটি তৈরি হয়ে গিয়েছিল বলে তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উঠে আসে। সেখানে নাক গলালেই পরিস্থিতি একেবারে ভয়াবহ। কিন্তু বাস্তবে সেই তদন্ত কমিটির সারবত্তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল।