Jute mill: চটের বস্তার বরাত কমিয়েছে কেন্দ্র, সংকটে চটকলগুলি, শ্রমিক ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা

পুজোর মুখে সমস্যায় পড়তে চলেছে চট শিল্প। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের চটকলগুলিকে আগে যে বরাত দেওয়া হয়েছিল আচমকা তা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই বিপাকে পড়েছেন চটকল মালিকরা। উৎপাদন কমার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সামনেই পুজো। উৎপাদন কমলে স্বাভাবিকভাবেই শ্রমিকদের বেতন এবং বোনাসে কোপ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। শুধু তাই নয়, কর্মী ছাঁটাই হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি পাট চাষিরাও সমস্যায় পড়বেন। সে ক্ষেত্রে পাটের দাম কমার আশঙ্কা করছেন অনেকে।

আরও পড়ুন: বিশ্বকর্মা পুজোর প্রাক্কালে বন্ধ হয়ে গেল জুটমিল, ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে কর্মহীন

সাধারণত খারিফ মরশুমে কেন্দ্র কতটা চটের বস্তা নেবে তা আগেই জানিয়ে থাকে রাজ্যের চটকলগুলিকে। গত মে মাসে চটকলগুলিকে চটের বস্তার বরাত দিয়েছিল কেন্দ্র। সেই মতো কাঁচামাল কেনা এবং উৎপাদনের ওপর প্রস্তুতি নিয়েছিল চটকলগুলি। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে হঠাৎ বরাত কমিয়ে দেওয়া হয়। আর তাতে বিপাকে পড়েছেন চটকল মালিকরা। ফলে তাঁরা উৎপাদন কমাতে বাধ্য হবেন। যদিও জুট কমিশনারের তরফে বরাত পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে সেই আশ্বাসে আস্থা রাখতে পারছেন না চটকল মালিকরা। তাঁদের বক্তব্য এরকম আশ্বাস আগেও দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু সে ক্ষেত্রে আশ্বাস দেওয়ার পর দেখা যায় বরাত আরও কমে যায়। ফলে এ ক্ষেত্রেও সেরকমই হওয়ার আশঙ্কা করছেন মালিকরা।

মূলত খাদ্যশস্য রাখার জন্যই চটের বস্তার বেশি প্রয়োজন হয়ে থাকে। তবে এবছর গমের ফলন ভালো হলেও ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের চেয়ে খোলা বাজারে দাম বেশি পাওয়া যাচ্ছে। ফলে সে ক্ষেত্রে সরকারের পরিবর্তে বেসরকারি ক্রেতাদেরই গম বিক্রি করছেন চাষিরা। ছত্তিশগড় সরকারও ধান কম কিনেছে। এইসবের কারণে চটের বস্তা সরবরাহ বন্ধ করেছে কেন্দ্র। উল্লেখ্য খাদ্য শস্য রাখার জন্য ১০০ শতাংশ এবং চিনি রাখার জন্য ২০ শতাংশ চটের বস্তা ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। তবে চলতি মাসে কেন্দ্র সরকার ৪০ শতাংশ বরাত কমিয়েছে বলে ইন্ডিয়ান জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে।

ইতিমধ্যেই এই সংগঠন জুট কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, অক্টোবর মাসের জন্য ৭.৪ কোটি বস্তার অর্ডার দেওয়া হয়েছে। অথচ ১৭.৫ কোটি বস্তা কেনার কথা। এরফলে মালিকদের আশঙ্কা কর্মীরা কাজ হারাবেন। এ বিষয়ে ইন্ডিয়ান জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের এক সদস্যের বক্তব্য, উৎপাদন প্রায় ৫০ শতাংশ কম হবে। ফলে কম কর্মীর প্রয়োজন হবে। তাছাড়া, পুজোর আগে বেতন অর্ধেক করা এবং বোনাসও কম করার আশঙ্কা থাকছে। ইতিমধ্যে মিল বন্ধ হতে শুরু করেছে। অন্যদিকে, চাষিরা সমস্যায় পড়বেন। কারণ পাটের উৎপাদন ভালো হলেও বস্তার চাহিদা কমায় পাটের ক্রয় কমবে। ফলে চাষিরা সমস্যায় পড়বেন।