Leaps and Bounds case: ‘এতো সুপার অ্যাকটিভ কেন?’ ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপে না করে পুলিশকে প্রশ্ন HC-র

লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর অফিসে তল্লাশি চালানোর সময় ১৬টি ফাইল কেন ডাউনলোড করা হল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইডি আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এমন কি জিডি (জেনারেল ডায়েরি) করা হয়েছে ইডি আধিরারিকদের বিরুদ্ধে। পুলিশের এই অতি সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কোর্ট পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে বিচারধীন বিষয় নিয়ে কোনও পদক্ষেপ না করতে।

বৃহস্পতিবার আদালতে ইডি-র আইনজীবী অভিযোগ করেন, তদন্তের নাম হায়রানি করা হচ্ছে ইডি আধিকারিকদের। আদালতে ইতিমধ্যে ডাউনলোড করা ১৬ ফাইল সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। এফআইআর না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা সত্বেও জিডি করা হয়েছে ইডি অফিসারদের বিরুদ্ধে।

রাজ্যের তরফে জানানো হয়, পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার পক্ষ থেকে একটি জিডি করা হয়েছে।

রাজ্যের এই জবাব শুনে বিচারপতি অমৃতা সিনহা পুলিশকে বলেন,’এখন আপনারা কোনও পদক্ষেপ করতে পারেন না। জিডি কেন করেছেন? এটা কি কোনও ক্রিমিনাল কেস? বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আপনারা কোনও পদক্ষেপ করতে পারেন না। সরকার আইনজীবী হিসাবে আপনার বক্তব্য রেকর্ড করা হচ্ছে, কোনও পদক্ষেপ করবেন না।’

তবে সরকারি আইনজীবী দাবি করেন, ইডি আধিকারিকদের কোনও রকম হায়রানি করা হচ্ছে না। কোনও পদক্ষেপও করা হচ্ছে না। শুধুমাত্র একটা দুর্নীতির তদন্ত করছে পুলিশ।

এই উত্তরে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি সিনহা বলেন,’আশাকরি আপনারা রাজ্যের মামলাতে এই ভাবে সুপার অ্যাক্টিভ হবেন এবং নিজেদের দায়িত্ব পালন করবেন।’ বিচারপতির প্রশ্ন, ‘এই ভাবে সুপার অ্যাকটিভ হয়ে কাজ করার কোনও কারণ আছে কি?’

সেই সময় ইডি-র আইনজীবী বলেন ঝোলা থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়ছিল তাই এত সক্রিয়তা। তখন বিচারপতি বলেন, ‘বেড়াল বেরোল না বাঘ বেরলো তা নিয়ে আদালত ভাবিত নয়।’

এই সময় সরকারি আইনজীবী বলেন,’অনেক সময় ভুয়ো ইডি বা সিবিআই আধিকারিক সেজে অপরাধমূল কাজকর্ম করা হয়। এক্ষেত্রে তেমনটি হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ‘

ইডির আধিকারিকদের রক্ষাকবচ দেওয়ার আবেদনে নতুন করে আর্জি জানানোর  অনুমতি চায় ইডি। নতুন আবেদন করে মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।