OBC PM: দেশকে প্রথম ওবিসি প্রধানমন্ত্রী বিজেপি দিয়ে দিয়েছে- দাবি নাড্ডা, প্রতিবাদ বিরোধীদের, উঠল দেবেগৌড়ার নাম

মহিলা সংরক্ষণ বিলের আলোচনায় গত কয়েকদিন ধরে বারবার উঠে এসেছে অনগ্রসর শ্রেণি তথা ওবিসিদের প্রসঙ্গ। মহিলা সংরক্ষণ ঘিরে আলোচনায় কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী ওবিসি প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেশের সরকারে ওবিসি সচিবদের সংখ্যা নিয়ে ধারালো আক্রমণ শানান বিজেপির দিকে। এরপরই বিজেপির তরফে পাল্টা জবাব আসে। এদিকে, সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির প্রেসিডেন্ট জেপি নাড্ডা দাবি করেছিলেন যে, তাঁর পার্টি বিজেপিই দেশের প্রথম ওবিসি প্রধানমন্ত্রী দিয়েছে। এবিষয়ে জেপি নাড্ডার বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতায় নামে বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি, নরেন্দ্র মোদীর আগেও দেশে ওবিসি শ্রেণি ভূক্ত প্রধানমন্ত্রী এসেছেন, আর তিনি হলেন এইচডি দেবেগৌড়া।

সংসদে যখন ওবিসি প্রধানমন্ত্রী নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, ততক্ষণে সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়া। এদিকে, কংগ্রেস এর আগে দাবি করেছিল, ওবিসি শ্রেণিভূক্ত মহিলাদের জন্য লোকসভা ও বিধানসভায় আলাদা আসন রাখতে হবে। তাক প্রেক্ষিতে বক্তব্য রাখছিলেন বিজেপির প্রধান জেপি নাড্ডা। মোদী সরকারের মন্ত্রিসভায় ও বিজেপির ভিতর কতজন ওবিসি বিধায়ক, মন্ত্রী, সাংসদ রয়েছেন, তার খতিয়ান দিয়েছেন জেপি নাড্ডা। এই বক্তব্য রাখার সময়ই তিনি দেশের ওবিসি প্রধানমন্ত্রী প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন।  জেপি নাড্ডা বলেন, ‘দেশকে প্রথম ওবিসি প্রধানমন্ত্রী বিজেপি-এনডিএ দিয়েছে। এটাও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে!’ যখনই বিরোধীদের তরফে প্রতিবাদের ঝড় আসে, তখনই দেখা যায়, নাড্ডা বলছেন, ‘আমি কংগ্রেসের বিষয়ে কথা বলছি, আমি কংগ্রেসের বিষয়ে কথা বলছি… ওঁদের বিষয়ে নয়, দেবেগৌড়াজি তো আমাদের, আমি কংগ্রেসের বিষয়ে কথা বলছি, জনতা দলের বিষয়ে নয়। দেশের প্রথম ওবিসি প্রধানমন্ত্রী এনডিএ দিয়েছে, আর তিনি হলেন নরেন্দ্র মোদী।’

এদিকে, এর একদিন আগে, লোকসভাতে পাশ হয় মহিলা সংরক্ষণ বিল। উল্লেখ্য, এই বিলে রয়েছে লোকসভা ও বিধানসভায় ৩৩ শতাংশ আসনে মহিলাদের সংরক্ষণ থাকতে হবে। এই বিলে কংগ্রেসের তরফে সমর্থনের বার্তা আগেই দিয়েছিলেন সনিয়া গান্ধী। লোকসভায় বিলটি পাশ হতেই তা রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে যায়। লোকসভায় যেখান বিলটি ৪৫৪ জন সাংসদের সমর্থন নিয়ে পাশ হয়েছে, সেখানে রাজ্যসভায় বিল পাশ হয়েছে ২১৫ জন সংসদের সমর্থন নিয়ে। রাজ্যসভায় এই বিলের বিপক্ষে একটিও ভোট পড়েনি। মহিলাদের আসন সংরক্ষণ নিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল যেভাবে বিলটিকে সমর্থন জানিয়েছে, তা নিয়ে সকল রাজনৈতিক দলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।