রাজ্য সরকার বৈদ্যুতিক গাড়ি ভাড়া নেবে, সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি পরিবহণ দফতরের

পরিবেশ দূষণ রুখতে হবে। পেট্রপণ্যের দাম বৃদ্ধি হলেও পরিবহণের খরচ কমাতে হবে। এমনই ভাবনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। তাইই রাজ্যে ‘ইলেকট্রিক ভেহিকলস’ চালানোর উপর জোর দিচ্ছে পরিবহণ দফতর। গণপরিবহণে অতিরিক্ত সংখ্যায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চালাতে একাধিক পদক্ষেপও করা হয়েছিল। যা পুরোটা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। তবে এবার সরাসরি রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের জন্য বৈদ্যুতিক চালিত গাড়ি ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এমনকী এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পরিবহণ দফতর।

ঠিক কী উল্লেখ রয়েছে?‌ পরিবহণ দফতরের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে, এবার থেকে প্রশাসনের সব স্তরের অফিসারদের জন্য বৈদ্যুতিক গাড়ি ভাড়া নিতে হবে। নতুন দরও ঠিক করা হয়েছে। এই বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের জন্য রাজ্য সরকার মাসে খরচ করবে ৪৬ হাজার টাকা। ১০০ কিমি যাতায়াতের জন্য এই ভাড়া বরাদ্দ করা হচ্ছে। তার পর গাড়ি যত কিমি চলবে তখন প্রতি কিমি পিছু ৮ টাকা করে দেওয়া হবে। নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার করতে ভাড়া নেবে পরিবহণ দফতর। আর পেট্রল–ডিজেল গাড়ি ভাড়া নিতে অনুমোদন লাগবে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, আদালতের নির্দেশে চলতি বছরে প্রায় ২০ হাজার পেট্রল–ডিজেলের ট্যাক্সি বাতিল হয়ে যাবে। এমনকী ১৫ বছরের উপরে গাড়িগুলির বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। এই বিপুল পরিমাণ গাড়ি বাতিল হয়ে গেলে নতুন করে গাড়ি ভাড়া নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। তখন বৈদ্যুতিক গাড়ি ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহণ দফতর। কারণ কলকাতায় দূষণ কমাতে বেশি করে বৈদ্যুতিক গাড়ি চালাতে চায় রাজ্য সরকার। খরচ এবং দূষণ দুটোই কমবে বলে আশাবাদী রাজ্য সরকার। বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনতে একগুচ্ছ ছাড়ের ঘোষণাও করেছে পরিবহণ দফতর। যা অভিনব পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:‌ আর্থিক দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল, চলবে সিবিআই তদন্ত

ঠিক কে, কি বলছেন?‌ বৈদ্যুতিক গাড়ি পরিবহণ দফতর ভাড়া নেবে বলে তার ভাড়াও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এখন পেট্রল–ডিজেলের গাড়ি ভাড়া নিলে অনেক টাকা গুণতে হয়। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, বৈদ্যুতিক গাড়ি ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এবার দর ঠিক করেই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তবে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ লাক্সারি ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‌আমরা রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু পরিকাঠামো তৈরি না করে বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানো কতটা লাভ হবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। পরিবহণ দফতরের সঙ্গে অনেক আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।’‌