Harsh Vardhan on Bidhuri incident: বিধুরির আপত্তিকর মন্তব্য শুনে হাসছিলেন হর্ষবর্ধন? মুখ খুললেন প্রাক্তন মন্ত্রী

সংসদে দাঁড়িয়ে বিএসপি দানিশ আলিকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিজেপি নেতা রমেশ বিধুরি। সেই সময় তাঁর পাশে বসে সেই মন্তব্য শুনতে শুনতে হাসতে দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনকে। এর জেরে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনিও। এই ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন হর্ষবর্ধন। হর্ষবর্ধন অভিযোগ করেন, বিধুরির বক্তব্যের সময় তাঁর হাসির দাবি ভুয়ো। তিনি নাকি কিছু শুনতেই পাননি। তাঁর হাসির ছবি দেখিয়ে নাকি তাঁর ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সংসদে বিএসপি সাংসদ দানিশকে উদ্দেশ্য করে অসংসদীয় মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির রমেশ বিধুরি। ইতিমধ্যেই বিধুরিকে সতর্ক করেছে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। এদিকে গতকাল বিধুরিকে শোকজ নোটিশও পাঠান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সংসদের বিশেষ অধিবেশন চলাকালীন বিএসপি সাংসদ দানিশ আলিকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরি। এই ঘটনার পর বিএসপি সাংসদ স্পিকারের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। বিজেপি সাংসদের এই ‘বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের’ জন্য ক্ষমা চান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার স্পিকারের কাছে চিঠি লিখে বিধুরির মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিএসপি সাংসদ। রমেশের বিরুদ্ধে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন জানান তিনি। তাঁকে সাসপেন্ড করার দাবি তোলা হয়েছে। এদিকে রমেশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করা হলে তিনি পদত্যাগ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন দানিশ। এদিকে এই নিয়ে লোকসভার এক আধিকারিক জানান, স্পিকার ওম বিড়লা বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরিকে ডেকে পাঠান। তাঁকে এই ধরনে ভাষা প্রয়োগ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। এদিকে স্পিকারে এই কর্মপদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এক সংসদ সদস্যকে এই ভাবে লোকসভার বাইরে ডেকে পাঠিয়ে সতর্ক করা যায় কি না, তা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তবে স্পিকার জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে এরকম আচরণ করলে দক্ষিণ দিল্লির বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে ‘কড়া ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে। এদিকে সংসদীয় কার্যাবলী থেকে দানিশের উদ্দেশ্যে করা রমেশের মন্তব্য মুছে ফেলা হয়েছে।

এদিকে বিধুরির বক্তব্যের ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, প্রাক্তন মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ এবং হর্ষবর্ষন বিধুরির বক্তৃতার সময় হাসছিলেন। যা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র অভিযোগ করেছেন, মুসলিম ও ওবিসিদের গালাগালি করা বিজেপির সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্দ অঙ্গ। বিজেপির বেশির ভাগ নেতাই এখন আর এতে কোনও ভুল দেখেন না। এদিকে বিএসপি সাংসদ দানিশ আলির সঙ্গে গতকাল দেখা করেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপালও রাহুলের সঙ্গে গিয়েছিলেন দানিশের বাড়িতে।